আফিক যে গরুর মাংসের কেজি এক-দেড় টাকা দেখেছেন, সেটা এখন ৭০০-৭৫০ টাকা

সিলেট নগরের লালবাজারের মাংস বিক্রেতা আফিক মিয়া
ছবি: প্রথম আলো

আফিক মিয়া (৬৫) সিলেট নগরের লালবাজারের আল আমিন স্টোর নামের মাংসের দোকানে কাজ করেন। একসময় নিজে দোকান দিয়ে ব্যবসা করলেও এখন তিনি চাকরি করেন। প্রতিদিনই দোকানে মাংস কাটাকাটি করে বিক্রির কাজ করেন। বাড়ি সিলেট শহরতলীর কুমারগাঁও এলাকায়। দাবি করলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরপর সময়টায় এক থেকে দেড় টাকায় এক কেজি গরুর মাংস বিক্রি করেছেন। এখন প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা।

কিশোর বয়সে আফিক মাংস বিক্রির কাজে যখন যুক্ত হন। সেকাল আর একালের কথা বলতে গিয়ে মঙ্গলবার তিনি দাবি করেন, মুক্তিযুদ্ধের আগে ৫০ পয়সায় ১ কেজি মাংস বিক্রি হতো। প্রতিনিয়তই গরুর মাংসের দাম বেড়েছে। দাম যেভাবে বাড়ছে, গরুর মাংসের দাম হাজার টাকা হতে বেশি সময় লাগবে না বলে মনে করেন তিনি।

স্ত্রী, দুই ছেলে ও পাঁচ মেয়েকে নিয়ে আফিক মিয়ার সংসার। পাঁচ মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। এখন দুই ছেলে ও তাঁর আয়ে সংসার চলে।

মঙ্গলবার বাজারে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্ধারিত তালিকায় গরুর মাংসের কেজি ৭২০ টাকা, খাসির কেজি ৯৫০ টাকা, ছাগলের কেজি ৯০০ টাকা ও ভেড়ার কেজি ৯০০ টাকা। এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ২৪৫ টাকা, কক মুরগি প্রতিটি ১৮০ টাকা থেকে ২৩০ টাকা, সোনালি মুরগি প্রতিটি ২১০ টাকা থেকে ২৬০ টাকা, কোয়েল পাখি প্রতিটি ৪৫ থেকে ৬০ টাকা এবং লাল মুরগি প্রতিটি ৫৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রমজানকে সামনে রেখে অনেকে বাজারে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। মাংস কিনতে যাওয়া নগরের জেল রোড এলাকার বাসিন্দা রোকনুজ্জামান বলেন, রমজান উপলক্ষে এখন সবকিছুর দাম বাড়ছে। গরুর মাংসের দাম কয়েক দিন আগেও ৬৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছিল। এখন সেটি ৭২০ টাকা। খাসি ও মুরগির দাম তো আরও বেশি বেড়েছে। ডিম থেকে শুরু করে মাছ, সবজি—সবকিছুরই বাড়তি দাম চাইছেন বিক্রেতারা।

তবে বিক্রেতারা বলছেন, কয়েক দিন আগে খাসির মাংসের কেজি এক হাজার টাকা ছুঁয়েছিল। এখন কমেছে। পশুর দাম বাড়ায় মাংসের দামও বাড়ছে। এতে বিক্রেতাদের হাতে কিছুই থাকে না।