সব বাধাবিপত্তি ঠেলে গণসমাবেশ সফল হয়েছে: সিলেট বিএনপি

সিলেটে গণসমাবেশ পরবর্তী মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপির নেতারা। নগরের দরগাগেট এলাকার এক রেস্তোরাঁয় শনিবার
ছবি: প্রথম আলো

সিলেটে বিএনপির নেতারা বলেছেন, বিভাগীয় গণসমাবেশের আগে বিএনপি নেতা-কর্মীদের নানাভাবে হয়রানি করা হয়েছে। নেতা-কর্মীদের বাসায় পুলিশ গিয়ে তল্লাশি চালিয়েছে। সমাবেশের আগে ১ হাজার ২০০ নেতা-কর্মীকে আসামি করে ৬টি হয়রানিমূলক মামলাও করা হয়েছে। তবে সব বাধাবিপত্তি ঠেলে সফলভাবে শান্তিপূর্ণ গণসমাবেশ হয়েছে।

আজ রোববার দুপুর ১২টায় গণসমাবেশ-পরবর্তী এ মতবিনিময় সভায় সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতারা এ কথা বলেন। নগরের দরগাগেট এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় এ আয়োজন করা হয়। মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সভায় জানানো হয়, সমাবেশের আগে করা ছয়টি মামলার মধ্যে তিনটির বাদী পুলিশ। এর মধ্যে হবিগঞ্জের লাখাইয়ে ২৫০ জন নেতা-কর্মীকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে। বাকি তিনটি মামলা করেছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। গণসমাবেশের প্রচারপত্র বিলি করার সময় কানাইঘাট, গোলাপগঞ্জ, মৌলভীবাজার থেকে ১৪ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া বিএনপির ‘নিখোঁজ’ সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাহসীনা রুশদীর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

আরও পড়ুন

আবদুল মঈন বলেন, বর্তমান সরকার শুধু মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়নি, মানুষের স্বাধীন মতপ্রকাশ করতেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। দেশের গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। তাই বিএনপি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের পাশাপাশি মুক্তভাবে মতপ্রকাশ করার অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলনও করছে।

আবদুল মঈন আরও বলেন, সিলেটে বিএনপির গণসমাবেশ সফল করার পেছনে হাজারো মানুষের কষ্ট এবং শ্রম লুকিয়ে আছে। ভয় ও শঙ্কা নিয়ে ধর্মঘটের বাধা ডিঙিয়ে মানুষ মাইলের পর মাইল পথ হেঁটে এসেছেন। অনেকে নৌকায় করে এসেছেন। বিএনপির আন্দোলন সফলে দলের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি কৃষক, শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের অনেক ত্যাগ আছে।

সভায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির বলেন, সিলেটে গণসমাবেশে মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে দিয়েছে, বিএনপির এই আন্দোলনের সঙ্গে সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততা রয়েছে। পরিবহন ধর্মঘটের কারণে তিন দিন আগ থেকে মানুষ খেয়ে না খেয়ে, না ঘুমিয়ে সমাবেশস্থলে পড়ে ছিলেন।

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সমাবেশ ঘিরে বাধা-প্রতিবন্ধকতা হয়নি, এটা বলা যাবে না। এরপরও সিলেটে গণসমাবেশ অনেক শান্তিপূর্ণ ও সফল হয়েছে। এ জন্য সিলেটবাসী ও প্রশাসনকে ধন্যবাদ।  

আরও পড়ুন

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কলিম উদ্দিন আহমদ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল কাইয়ুম জালালী ও সদস্যসচিব মিফতাহ্ সিদ্দীকি, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নাসিম হোসাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।