২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

পাসের দাবিতে আবারও চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে তালা দিলেন এইচএসসি ফেল করা শিক্ষার্থীরা

পাসের দাবিতে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে এইচএসসি ফেল করা শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন। আজ দুপুরে তোলাপ্রথম আলো

পাস করানোর এক দফা দাবিতে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করছেন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ফেল করা একদল শিক্ষার্থী। আজ সোমবার বেলা দুইটার দিকে বোর্ডে অবস্থান নিয়ে ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন তাঁরা।

১৫ অক্টোবর এইচএসসির ফলাফল প্রকাশিত হয়। এবার চট্টগ্রামে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ লাখ ৬ হাজার ২৯৮ জন। তাঁদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ১ লাখ ৫ হাজার ৪১৬ জন, পাস করেন ৭৪ হাজার ১২৫ জন। পাসের হার ৭০ দশমিক ৭২ শতাংশ। ফেল করার পেছনে ‘সাবজেক্ট ম্যাপিং’ পদ্ধতিকে দোষারোপ করছেন শিক্ষার্থীরা। পরে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। গতকাল রোববার বেলা ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বোর্ড চত্বরে এ কর্মসূচি পালিত হয়। আজ বেলা দুইটার দিকে আবারও বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন। শুরুতেই তাঁরা মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। বর্তমানে ফটকে তালা ঝুলছে।

অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘আবু সাঈদের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’—এ রকম আরও নানা স্লোগান দেন। বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, ফলাফলে তাঁরা সন্তুষ্ট নন। তাঁদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। উত্তরপত্র যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি। সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের নামে বৈষম্য করা হয়েছে। তাই তাঁদের সব বিষয়ে পাস করিয়ে দিতে হবে। এক শিক্ষার্থী বলেন, গত বৃহস্পতিবার এক দফা দাবিতে বোর্ড চেয়ারম্যান রেজাউল করিমের কাছে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছিল। দ্রুত এক দফা দাবি মেনে নিতে হবে। নয়তো আন্দোলন চলবে।

শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ফলাফল তৈরি করা হয়েছে। এখানে কারও বিষয়ে বৈষম্য করার সুযোগ নেই। শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষ পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। রেজাউল করিম জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাসহ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসে আলোচনা করেছেন।