ফেসবুক পোস্টে হা হা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৮

ফেসবুক পোস্টে হা হা রিঅ্যাক্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সোমবার রাতে কিশোরগঞ্জের ভৈরব শহরেছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের ভৈরব শহরের কমলপুর মধ্যপাড়ার তরুণ ওমর মিয়ার একটি ফেসবুক পোস্টে হা হা রিঅ্যাক্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই আটজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কমলপুর এলাকার কামাল মিয়া (৪২), রাফিজ আহমেদ (২৮), নয়ন মিয়া (৩০), আরিয়ান ইসলাম (১৯), জিহাদ সরকার (১৯), হেদায়েত উল্লাহ (১৯), উপজেলার মানিকদি গ্রামের সৌরভ আহম্মেদ (২৪) ও বাঁশগাড়ি গ্রামের আবির হাসান (২২)। গ্রেপ্তার ৮ জনই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১ এপ্রিল রাতে ভৈরব পৌর শহরের কমলপুর এলাকার মধ্যপাড়ার ওমর মিয়ার একটি ফেসবুক পোস্টে হা হা রিঅ্যাক্ট দেন পূর্বপাড়ার আজিবর মিয়া নামের এক ব্যক্তি। তাঁরা পূর্বপরিচিত। হা হা রিঅ্যাক্ট দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হন ওমর। এই নিয়ে সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়। বিষয়টি বুঝতে পেরে স্থানীয় কয়েকজন তাৎক্ষণিকভাবে দুজনকে ডেকে এনে মীমাংসা করে দেন। তবে এতে সুরাহা হয়নি। পরে উভয় পক্ষ দা ও বল্লম নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে স্থানীয় র‌্যাব ও পুলিশের সদস্যদের বেগ পেতে হয়। ঘটনাস্থল থেকে ৪ জনকে আটক করা হয়। সংঘর্ষের সময় অন্তত ১২টি দোকান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। আহত হন উভয় পক্ষের অন্তত ৬ জন। এ ছাড়া কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হন। আহত পুলিশ সদস্যের মধ্যে ছিলেন ভৈরব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহাবুব উল্লাহ সরকার।

এ ঘটনায় এসআই মাহাবুব উল্লাহ সরকার বাদী হয়ে গতকাল বুধবার ৮  জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। সেই মামলায় ওই ৮ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন

এসআই মাহাবুব উল্লাহ সরকার বলেন, ‘ওই দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নেতিবাচক প্রভাবের ফল নিজ চোখে দেখলাম। তারা কাউকে মানছিল না। র‌্যাব-পুলিশকে আমলে নিচ্ছিল না। আমার মনে হয়েছে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা না গেলে এ ধরনের সমস্যা আরও বাড়বে। সেই কারণেই মামলা করা।’

র‌্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট ফাহিম ফয়সাল বলেন, তাঁদের হাতে আটক হওয়া ৬ জনই সংঘর্ষে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁরা প্রত্যেকে কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলেও জানিয়েছেন। পরে তাঁদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।