এক বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ না নিয়েও জিপিএ–৫

চট্টগ্রামের বাঁশখালীর চাম্বল উচ্চবিদ্যালয়ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় এক বিষয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করেই সে বিষয়ে জিপিএ ৫ পেয়েছে দুই শিক্ষার্থী। চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। পরীক্ষা না দিয়ে পাস করা দুই শিক্ষার্থী বাঁশখালীর চাম্বল উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানিয়েছে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড।

জানা গেছে, বাঁশখালীর চাম্বল উচ্চবিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র ছিল বাঁশখালী আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়। মাধ্যমিকে আইসিটি পরীক্ষা নৈর্ব্যক্তিক ও ব্যবহারিক—২৫ নম্বর করে ৫০ নম্বরের হয়ে থাকে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা ছিল। আধা ঘণ্টার নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষায় কেন্দ্রেই উপস্থিত হননি দুই শিক্ষার্থী। তবে গত ১২ জুন প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ওই দুই ছাত্রী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে।

বাঁশখালী আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের কেন্দ্রসচিব রতন চক্রবর্তী বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে পরীক্ষার দিন ওই দুই শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। তারা সেদিন কেন্দ্রেও আসেনি। বোর্ড যেসব তথ্য চেয়েছে সেগুলো বোর্ডে পাঠানো হয়েছে।

বাঁশখালী চাম্বল উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ৩০৩ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে তিনজন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। পাস করে মোট ২৭৬ জন। বিদ্যালয়ের ফলাফলে তিন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত দেখে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধারণা করেছেন ওই দুই শিক্ষার্থী অনুপস্থিতের তালিকায়। তবে বিদ্যালয়ের তাদের পাস করা বিষয় জানাজানি হলে অবাক হন প্রধান শিক্ষক।

চাম্বল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, পরীক্ষার দিন তারা বিদ্যালয়ে এসে জানায়, তারা পরীক্ষা দিতে পারেনি। কোনোভাবে পরীক্ষা নেওয়া যায় কি না, তার জন্য কেন্দ্র সচিবকে ফোনও করেছিলেন তিনি। ওই দুই শিক্ষার্থী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিল বলে জানায়।

এ বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক চট্টগ্রাম বোর্ডের এ এম এম মুজিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহারিক নম্বর কেন্দ্র থেকে বসানোর কথা না। তবে কেন্দ্র নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষায় শিক্ষার্থীর উপস্থিতি যাচাই না করে তাদের ব্যবহারিক নম্বর বসিয়ে দিয়েছে।

ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে এ এম এম মুজিবুর রহমান বলেন, অনুপস্থিতির বিষয়ে অনলাইনে দেয়নি কেন্দ্রসচিব। কেন্দ্রসচিব ও প্রধান শিক্ষককে বোর্ডে ডেকে বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।