ইভিএম একটি জালিয়াতির যন্ত্র: বদিউল আলম মজুমদার

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। শনিবার বিকেলে রংপুর নগরে আরডিআরএস ভবনের সামনে
ছবি: মঈনুল ইসলাম

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘এটি একটি দুর্বল যন্ত্র। শক্ত করে বলতে হলে—এটি একটি জালিয়াতির যন্ত্র। এই যন্ত্র দিয়ে নির্বাচন কমিশন যে ফলাফল চায়, সেই ফলাফল সৃষ্টি করতে পারবে। এটা যাচাই-বাছাই করে দেখার সুযোগ হবে না। এটা অডিট করার সুযোগ হবে না। এটা পুনর্গণনা করার সুযোগ হবে না। এই যন্ত্র ব্যবহার করে সুষ্ঠু নির্বাচনে ইতিবাচক হবে না।’ আজ শনিবার বিকেলে রংপুর নগরে আরডিআরএস মিলনায়তনে একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

আসন্ন রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, অতীতে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন কিন্তু একটি ইতিবাচক ইতিহাস, একটি উজ্জ্বল ইতিহাস। বস্তুত গত নির্বাচন কমিশনের আমলে প্রথম মনে হয়, এই নির্বাচনটা হয়েছিল। এই নির্বাচনটা সুষ্ঠু হয়েছিল, জনগণের মতামত প্রতিফলিত হয়েছিল। তিনি আশা করছেন, এবারও তা-ই হবে। সৎ ও যোগ্য প্রার্থী জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবেন।

গাইবান্ধার একটি আসনে উপনির্বাচনের বিষয়ে সুজন সম্পাদক বলেন, গাইবান্ধায় প্রথমবারের মতো নির্বাচন কমিশন সিসি ক্যামেরা বসিয়ে যে অনিয়ম উদ্‌ঘাটন করেছে, এটা একটা ইতিহাস। আরেকটি ইতিহাস হলো, পুরো নির্বাচনী এলাকার নির্বাচন বাতিল হয়েছে। তৃতীয় ইতিহাস হলো, সেখানে একটা তদন্ত হয়েছে। চতুর্থ ইতিহাস খুব একটা ইতিবাচক নয়। তিনি আরও বলেন, ‘তদন্তে বেরিয়ে এল রাঘববোয়ালেরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গেল। দুর্নীতির বিষবৃক্ষের ডালপালা ছড়িয়ে দেওয়া হলো। কিন্তু বৃক্ষটা রয়েই গেল। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব সুষ্ঠু নির্বাচন করা, কিন্তু গাইবান্ধায় তারা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারেনি। তদন্তে কারা দায়ী, তারা বের করতে পারল না। তদন্তে রাঘববোয়ালেরা পার পেয়ে গেল, চুনোপুঁটিরা জালে আটকা পড়ল। তাহলে গাইবান্ধা কী বার্তা দিল। আপনি যদি রাঘববোয়াল হোন, ক্ষমতাধর হন, পার পেয়ে যাবেন।’