চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় মৎস্যজীবী লীগের এক ইউনিয়ন সভাপতির বিরুদ্ধে রাতের আঁধারে প্রতিবেশীর পুকুরে সেচযন্ত্র লাগিয়ে মাছ চুরির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে ওই মৎস্যজীবী লীগ নেতাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে লোহাগাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন পুকুরের মালিকের পরিবারের এক সদস্য।
অভিযুক্ত মৎস্যজীবী লীগের নেতার নাম আবদুল আজিজ (৪৮)। তিনি লোহাগাড়া সদর ইউনিয়ন মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি। তাঁর বাড়ি ওই ইউনিয়নের উজিরহাটের মজিদার পাড়া এলাকায়। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন একই এলাকার বাসিন্দা আচিয়া খাতুন (৬০)।
লিখিত অভিযোগে আচিয়া খাতুন বলেন, যে পুকুরটি থেকে মাছ চুরি করা হয়েছে, সেটি তাঁর বাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত একটার দিকে পুকুরটিতে সেচপাম্প লাগিয়ে মাছ শিকার শুরু করেন আবদুল আজিজ এবং স্থানীয় দুই বাসিন্দা আলমগীর হোসেন ও সৈকত হোসেন। এ সময় প্রায় চার মণ মাছ চুরি করেন তাঁরা। শুক্রবার সকালে মাছ চুরির বিষয়টি জেনে আচিয়া খাতুন পুকুরটিতে যান। সেখানে গিয়ে আবদুল আজিজসহ অভিযুক্ত অপর দুজনকে পুকুরে মাছ ধরতে দেখেন। এ সময় তাঁদের কাছে মাছ চুরির কারণ জানতে চাইলে তাঁকে গালিগালাজ করা হয়।
লোহাগাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শরীফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পুকুর থেকে একটি সেচযন্ত্র জব্দ করেছে। অভিযোগ তদন্ত করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে মৎস্যজীবী লীগের লোহাগাড়া সদর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি আবদুল আজিজ প্রথম আলোকে বলেন, সেচযন্ত্রটি পুকুরে অন্য কেউ লাগিয়েছেন। সবাই মাছ শিকার করছে দেখে তিনিও শখের বশে পুকুরটিতে মাছ ধরতে নেমেছিলেন।
লোহাগাড়া উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, মাছ চুরির অভিযোগ প্রমাণিত হলে আবদুল আজিজের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।