চট্টগ্রামে গানে কবিতায় বর্ষা ও শরৎ–বন্দনা
প্রকৃতির আচরণ ক্রমে পাল্টে যাচ্ছে। বছরের ছয়টির ঋতুর সব কটি এখন আর আগের মতো ধরা দেয় না। এ বছর বর্ষা এসেছে দেরি করে। শরৎও প্রায় শেষ হতে চলেছে। কিন্তু নাগরিক জীবনে এই দুই ঋতুর সৌন্দর্য যেন ধরা দেয়নি পরিপূর্ণ রূপে। সেই আক্ষেপ মেটাতেই গানে, কবিতায় আর কথামালায় বর্ষা ও শরতের বন্দনা হয়ে গেল চট্টগ্রামের শিশুদের সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ফুলকি প্রাঙ্গণে। ‘মেঘ ও রৌদ্র’ শিরোনামে ফুলকি প্রাঙ্গণে এই অনুষ্ঠান শুরু হয় আজ সকাল সাড়ে সাতটায়। ফুলকি পরিচালিত ছোটদের সাংস্কৃতিক বিদ্যালয় সোনার তরী ও শুদ্ধ সংগীতচর্চা প্রতিষ্ঠান রক্তকরবী ঋতুবন্দনার এই অনুষ্ঠানের আয়োজক।
ফুলকির সুগত প্রসাদ বড়ুয়া মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বের শুরুতে সোনার তরীর আনন্দ, মুগ্ধ, সৃষ্টি, ব্যাপ্তি ও শিখর শ্রেণির সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থীরা দলগতভাবে রাগ বৃন্দাবনী সারেং পরিবেশন করে। এরপর একে একে বর্ষা ও শরতের গান গেয়ে শোনায় শিক্ষার্থীরা। সোনার তরীর শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় যন্ত্রানুষঙ্গে সংগীত বিভাগের শিক্ষকেরা সহযোগিতা করেন।
দ্বিতীয় পর্বে ছিল রক্তকরবীর শিল্পীদের পরিবেশনা। তাঁদের পরিবেশনায় শুরুতেই শুভ্রতা দাশের ‘এসো শরতের অমল মহিমা’ গানটি দর্শকদের মনে শরতের মহিমা ছড়িয়ে দেয়। বৃন্দ পরিবেশনায় ছিল ‘বিশ্ববীণারবে বিশ্বজন মোহিছে’, ‘তোমার মোহন রূপে’সহ বেশ কয়েকটি ঋতু পর্বের গান।
এরপর একক ও দ্বৈত গান পরিবেশন করেন সৃষ্টি বড়ুয়া, সোমা রায়, শিল্পী তালুকদার, গার্গী দাশ, মুনমুন দে, রুদ্র সওদাগর, রোজী বিশ্বাস, সোমা বড়ুয়া, রাজেশ কর, অনিন্দিতা হোড়, এমিলি দাশ ও রুদ্রিতা বড়ুয়া। যন্ত্রানুষঙ্গে ছিলেন তবলায় সানি দে, কি–বোর্ডে সৃজন রায়। অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিকল্পনা ও পরিচালনায় ছিলেন সংগীতশিল্পী ও প্রশিক্ষক শীলা মোমেন।
অনুষ্ঠান শেষে অধ্যাপক ফেরদৌস আরা আলীম, ফুলকি ট্রাস্টের সম্পাদক ওমর কায়সার ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ কে এম কৌশিক আহমেদ বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শিক্ষক পূজা বিশ্বাস।