দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে এক পরিবারেই ঘুরছে উপজেলা চেয়ারম্যানের চেয়ার

তাজওয়ার মোহাম্মদ ফাহিম
ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান (ফিজু)। এরপর তাঁর পরিবারের বড় ছেলে শিবলী সাদিক উপজেলা চেয়ারম্যান পরিষদের নির্বাচিত হন। সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একই পরিবারের ছোট ছেলে তাজওয়ার মোহাম্মদ ফাহিম (নাইন্টি) উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। একই পরিবারের মধ্যে ঘুরছে উপজেলা চেয়ারম্যানের চেয়ার। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

বুধবার সর্বশেষ চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ও আওয়ামী লীগের নেতা নিজামুল হাসান শিশিরকে পরাজিত করে নির্বাচিত হন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাজওয়ার মোহাম্মদ ফাহিম। তিনি ঘোড়া প্রতীকে ৪৯ হাজার ৯৩১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। আর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নিজামুল হাসান মোটরসাইকেল প্রতীকে ১৫ হাজার ১৫৫ ভোট পেয়েছেন। আর বর্তমান চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আনারস প্রতীকে ৩৭১ ভোট পেয়েছেন।

শিবলী সাদিক
ছবি: সংগৃহীত

নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৫ সালে প্রথম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নবাবগঞ্জ উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত মোস্তাফিজুর রহমান। পরে ২০০৯ সালে মোস্তাফিজুর রহমানের বড় ছেলে ও বর্তমান সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সর্বশেষ গতকালের নির্বাচনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকের ছোট ভাই তাজওয়ার মোহাম্মদ ফাহিম উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। একই পরিবার থেকে পর্যায়ক্রমে তিনজন উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি স্থানীয়ভাবে বেশ আলোচিত হচ্ছে।

এ ছাড়া ২০২২ সালে দিনাজপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জাতীয় পার্টি সমর্থিত প্রার্থী ও তাজওয়ার মোহাম্মদ ফাহিমের চাচা দেলওয়ার হোসেন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

মোস্তাফিজুর রহমান
ছবি: সংগৃহীত

নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ মোশাররফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তাজওয়ার মোহাম্মদ ফাহিমের রাজনৈতিক পরিবার। তাঁর প্রয়াত দাদা আফতাব উদ্দিন এবং প্রয়াত বাবা মোস্তাফিজুর রহমান দক্ষ ও জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ ছিলেন। তাঁর বড় ভাই শিবলী সাদিকও একজন জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ। তাঁর বড় চাচা দেলওয়ার হোসেন টানা ৩৭ বছর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন। বর্তমানে তিনি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। উপজেলা আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ তাজওয়ারকে ভালোবেসে ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন। আশা করছেন, নির্বাচনী পথসভায় তিনি যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সেগুলো বাস্তবায়ন করবেন। এতে উপজেলার উন্নয়নে আমূল পরিবর্তন ঘটবে।