বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে সদর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে গাবতলা স্কুলের সামনে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির ও ইউপি সদস্য মো. জাকির তালুকদারের সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৫ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন সদর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, তাঁর সমর্থক মো. আজিজ শেখ, ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য মো. মিলন শেখ, মো. খায়রুল শেখ, রুম্মান তালুকদার, ডালিম শেখ ও আশ্রাব আলী শেখ, সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মশিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সিদ্দিকুর রহমান লাল, ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী জাকির তালুকদার, শাওন শেখ এবং তাঁর সমর্থক নাজমুল হাসান, আরিফ শেখ ও আউয়াল তালুকদার।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সদর ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বলেন, ‘পূর্বনির্ধারিত সময়ে গাবতলা স্কুলের সামনে কমিটি গঠন করতে যাই আমরা। আমার স্বাগত বক্তব্য শেষ হওয়ার আগেই যুবলীগ নেতা ইউপি সদস্য জাকির তালুকদারের নেতৃত্বে একটি বাহিনী লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে অতর্কিতে হামলা করে। এতে আমাদের প্রায় ১৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।’
এ বিষয়ে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেবেন কি না, জানতে চাইলে সদর ইউপির চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আগে আমাদের নেতা-কর্মীরা সুস্থ্ হোক। তারপর কী করা যায়, সেটা ভাবা যাবে।’
ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির ও তাঁর লোকজনের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করে যুবলীগ নেতা ইউপি সদস্য জাকির তালুকদার বলেন, অগণতান্ত্রিকভাবে কমিটি গঠন করার পাঁয়তারা করছিলেন চেয়ারম্যান, হুমায়ুন কবির, ইউপি সদস্য মিলনসহ কয়েকজন। বিষয়টির প্রতিবাদ করায় চেয়ারম্যান, মিলনসহ কয়েকজন আমাদের ওপর হামলা করেন। এতে আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।’
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।