হবিগঞ্জে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গৃহবধূর হাত-পা বিচ্ছিন্ন, সাবেক স্বামী আটক

হবিগঞ্জ জেলার মানচিত্র

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে আকলিমা খাতুন (৩২) নামের এক গৃহবধূর দুই হাত ও এক পা কেটে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

মুমূর্ষু অবস্থায় ওই গৃহবধূকে সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে উপজেলার সোনাচং গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাবেক স্বামী সুজন মিয়াকে (৩৬) আটক করেছে পুলিশ। সুজন উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের সোনাচং এলাকার বাসিন্দা। গুরুতর আহত আকলিমার বাবার বাড়ি চুনারুঘাট উপজেলার ছনখলা গ্রামে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় ১৫ বছর আগে আকলিমাকে বিয়ে করেন সুজন মিয়া। তাঁদের ১৫ বছরের সংসারে ৭ ছেলেমেয়ে আছে। আকলিমা স্বামী-সন্তান রেখে অন্যত্র বিয়ে করেছেন, এমন অভিযোগ তুলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াবিবাদ লেগে থাকত। সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের ছাড়াছাড়ি হয়।

সুজন মিয়া
ছবি: সংগৃহীত

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সন্ধ্যার আগমুহূর্তে বাড়ির সামনে একটি নারকেলগাছ পরিষ্কার করছিলেন সুজন মিয়া। ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন আকলিমা। এ সময় একে-অপরকে গালাগাল দেন। একপর্যায়ে সুজন মিয়া তাঁর হাতে থাকা দা দিয়ে আকলিমাকে কোপাতে শুরু করেন। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আকলিমার বাঁ হাত কনুই থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আর ডান হাতের কবজি কেটে যায়। একইভাবে বাঁ পা গোড়ালি থেকে ঝুলে আছে। ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত সুজন বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় সুজন মিয়াকে আটক করে চুনারুঘাট থানা-পুলিশ।

আটকের পর সুজন মিয়া পুলিশকে জানান, আকলিমা তাঁর সাবেক স্ত্রী। তিনি সাত ছেলেমেয়ে রেখে অন্যত্র বিয়ে করায় তাঁকে তিনি তালাক দিয়েছেন। আজ আকলিমা তাঁকে গালিগালাজ করায় ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর হাত-পা কেটে দিয়েছেন।

চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, গৃহবধূর হাত-পা কাটার ঘটনায় তাঁর সাবেক স্বামীকে আটক করা হয়েছে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আকলিমার দুই হাত ও বাঁ পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।