১ বছর মেয়াদের কমিটির পূর্ণাঙ্গ কমিটি হলো ২ বছরে এসে

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ওই পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এর আগে ২০২২ সালের ২৯ এপ্রিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের ১৮ সদস্যের আংশিক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। অর্থাৎ প্রায় দুই বছরের মাথায় এসে পূর্ণাঙ্গ কমিটি হলো বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের; অথচ এই কমিটির মেয়াদই ছিল এক বছর।

বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে নতুন করে ২০টি পদে ১৮১ জনকে নিযুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি বুধবার রাত ১০টার দিকে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান। এর মধ্যে সহসভাপতি পদে আছেন ইমরান সিদ্দিকী, ইসতিয়াক ইউসুফ, মাশহুর আহমেদ ভূঁইয়া, কৌশিক আহমেদ, শাহীর আহমেদসহ মোট ৬১ জন; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে শাহীনুর রেজা, মো. নাজমুল হাসানসহ মোট ১১ জন, সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নিলয় মজুমদার, মো. মুশফিকুর রহমানসহ মোট ১১ জনকে নিযুক্ত করা হয়। নতুন কমিটির দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন শাহরিয়ার খন্দকার, উপদপ্তর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আরও তিনজন, অর্থবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আরশাদ মুজাহিদ, উপ–অর্থবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আরও দুজন। এ ছাড়া বিভিন্ন সম্পাদকীয় ও উপসম্পাদকীয় পদে ৬৮ জনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে দুই বছর লাগার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান বলেন, ‘আমরা অনেক আগে থেকেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। তবে গত বছর ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নতুন কমিটি গঠন বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপরে জাতীয় নির্বাচন এবং তারপরে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন থাকায় আমাদের কার্যক্রম পিছিয়ে গেছে।’

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাজগুলো মূলত ধারাবাহিকভাবে হয়। পূর্ণাঙ্গ কমিটির পরে এখন আমরা হল সম্মেলন করব। আশা করছি, আগস্টের মধ্যেই হল কমিটি গঠন করা যাবে। হল কমিটি দেওয়া হয়ে গেলে আমাদের সাংগঠনিক কাজ মোটামুটি শেষ। এটুকু দায়িত্বের নির্দেশনাই আমরা কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে নিয়ে এসেছি। এরপরে কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’