শিশুকে হত্যা করে বালুতে পুঁতে রাখার মামলায় পাঁচজন আটক

সুনামগঞ্জ জেলার মানচিত্র

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় গ্রামের পাশের নদীর তীরের বালুতে পুঁতে রাখা অবস্থায় শিশু সাকিবুল ইসলামের (৭) লাশ উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলায় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকালে সাবিকুলের গ্রাম থেকে পুলিশ তাঁদের আটক করে। তবে তদন্তের স্বার্থে আটক ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ।

সাকিবুল ইসলাম তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের মোদেরগাঁও গ্রামের কৃষক হারুন মিয়ার ছেলে। সে স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে পড়ত। গত ১৮ এপ্রিল গ্রামের পাশের জাদুকাটা নদীর তীরে বালু চাপা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়। এর দুই দিন পর অজ্ঞাত আসামিদের নামে থানায় হত্যা মামলা করেন হারুন মিয়া।

পুলিশ জানায়, আজ সকালে মোদেরগাঁও গ্রাম থেকে পুলিশ পাঁচজনকে আটক করে। এর মধ্যে দুজন নারী ও তিনজন পুরুষ রয়েছেন। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে সাকিবুলের আত্মীয় ও প্রতিবেশী রয়েছেন।

তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন পাঁচ ব্যক্তির আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাঁদেরকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মোদেরগাঁও গ্রামটি জাদুকাটা নদীর পূর্ব পাড়ে অবস্থিত। ১৭ এপ্রিল সকালে সাকিবুলকে স্কুলে যাওয়ার জন্য তার মা তাগাদা দেন। এরপর সে ঘর থেকে বের হয়। পরিবারের লোকজন মনে করেছিলেন সে স্কুলেই গেছে। কিন্তু বিকেলে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে তার খোঁজে এলাকায় মাইকিং করা হয়। কিন্তু সন্ধান মেলেনি।

পরদিন সকালে জানা যায়, গ্রামের পাশের জাদুকাটা নদীর তীরের বালুর নিচে পুঁতে রাখা একটি শিশুর লাশ পাওয়া গেছে। শিশুটির দুই হাত বালুর ওপরে ছিল। পরে পরিবারের লোকজন গিয়ে তাকে শনাক্ত করেন। এরপর খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে পাঠায়।