মোটরসাইকেল সরাতে বলায় রিকশাচালককে ছুরিকাঘাত, তরুণ আটক
বগুড়ার শেরপুরে তুচ্ছ ঘটনায় এক রিকশাচালক ছুরিকাহত হওয়ার ঘটনার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে। শেরপুর থানা চত্বরে এক ঘণ্টা ধরে অবস্থান নেওয়ার পর আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহর প্রদক্ষিণ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ছুরিকাঘাতে আহত ওই রিকশাচালকের নাম আলালউদ্দিন (৩০)। তাঁর বাড়ি শহরের উত্তর সাহাপাড়া মহল্লায়। ওই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে আদনান হাবিব ওরফে অনিক (২৬) নামের এক তরুণকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আদনান শহরের শান্তিনগর মহল্লার বাসিন্দা।
আহত অবস্থায় আলালউদ্দিনকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আলালউদ্দিনের পেটের বাঁ পাশে ধারালো অস্ত্রের আঘাত আছে। অস্ত্রটির কিছু অংশ পেটের মধ্যে ঢুকে গিয়েছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে আদনান মোটরসাইকেল নিয়ে শহরের রেজিস্ট্রি অফিস মোড়ে বাজার করতে যান। সেখানে তিনমাথা মোড়ে সড়কের ওপর মোটরসাইকেল রেখে বাজার করার সময় সড়কটিতে রিকশা চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। এ সময় মোটরসাইকেলটি সরিয়ে নিতে বললে ক্ষুব্ধ হয়ে আলালউদ্দিনের পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দেন আদনান। পরে তাঁকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয় লোকজন। ওই সময় অন্য রিকশাচালকেরা বাজারের মধ্যে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন জিহাদী ঘটনাস্থলে গিয়ে আইনগতভাবে সঠিক বিচারের আশ্বাস দেন।
এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক কারিমুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় স্থানীয় রিকশাচালকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাঁরা এ ঘটনায় জড়িত আদনানের উপযুক্ত বিচার দাবি করেন।
এদিকে এ ঘটনার বিচার দাবিতে থানা চত্বরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করলে সঠিক বিচারের আশ্বাস দিয়ে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করে পুলিশ। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।