হবিগঞ্জে চা-শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, ভোগান্তি

দৈনিক মজুরি বাড়ানোর দাবিতে আজ শনিবার দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দেড় ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন চা–শ্রমিকেরা। মহাসড়কের বাহুবল উপজেলার বাগানবাড়ি এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

দৈনিক মজুরি বাড়ানোর দাবিতে আজ শনিবার হবিগঞ্জের চা–শ্রমিকেরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দেড় ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন। এতে মহাসড়কের হাজারো যানবাহন আটকা পড়ায় যাত্রীরা দুর্ভোগ পোহান।

আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার বৃন্দাবন, রশিদপুর, মিতলাচড়া, রামপুর, ফয়জাবাদ, আমতলী, কামাইছড়া ও বালুছড়ার হাজারো চা-শ্রমিক ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার বাগানবাড়ি এলাকায় জড়ো হন। একপর্যায়ে শ্রমিকেরা মহাসড়কে অবস্থান নেন। অবস্থানকারীরা তাঁদের মজুরি বাড়ানোর দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। শ্রমিকেরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অবস্থান নেওয়ায় সড়কের দুই প্রান্তে হাজারো যানবাহন আটকা পড়ে।

চা–শ্রমিকেরা ঢাকা–সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করায় দুই প্রান্তে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। আজ শনিবার হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার বাগানবাড়ি এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

সমাবেশে  শ্রমিকেরা বলেন, দেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ নানা উপকরণের দাম বেড়েছে। অথচ তাঁদের বেতন বাড়ানো হচ্ছে না। এ বেতন দিয়ে তাঁরা সংসার চালাতে পারছেন না। তাই তাঁরা ৩০০ টাকা মজুরি দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত মহাসড়ক ছাড়বেন না।

মহাসড়ক অবরোধ করার খবর পেয়ে হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনের সংসদ সদস্য শাহ নেওয়াজ মো. মিলাদ গাজী, বাহুবল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহুয়া শারমিন, নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহীউদ্দিন, বাহুবল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। তাঁরা শ্রমিকদের মহাসড়ক ছেড়ে আলোচনা বসতে অনুরোধ করেন।

এ অনুরোধের আধা ঘণ্টা পর বেলা দুইটায় চা-শ্রমিকেরা প্রশানের অনুরোধে মহাসড়ক থেকে সরে আসেন। পরে সংসদ সদস্যের নেতৃত্বে বাহুবল উপজেলা মিলনায়তনে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়। ওই বৈঠক চলাকালে বেলা তিনটায় সরকারের সঙ্গে বৈঠকের পর বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) নিপেন পাল ধর্মঘট কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।

বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল বলেন, ‘সংসদ সদস্য শাহ নেওয়াজ মো. মিলাদ গাজী আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, আমাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে তিনি সরকারের উচ্চমহলে আলোচনা করবেন। যে কারণে তাঁর সম্মানে ও প্রশাসনের অনুরোধে আমরা মহাসড়ক থেকে উঠে এসেছি।’