গোয়ালন্দে পদ্মায় জেলের জালে ১৬ কেজির পাঙাশ

পদ্মায় জেলের জালে ধরা পড়া ১৬ কেজির পাঙাশ। মঙ্গলবার দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের মাছের আড়তে
ছবি: প্রথম আলো

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় পদ্মা নদীতে জেলেদের জালে ১৬ কেজি ওজনের একটি পাঙাশ মাছ ধরা পড়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে পদ্মার বাহির চর দৌলতদিয়া এলাকায় মাছটি ধরা পড়ে। দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকার মাছ ব্যবসায়ী আলমগীর মোল্লার কাছে মাছটি ১ হাজার ৩০০ টাকা কেজি দরে ২০ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি করেন জেলে গোপাল হালদার।

স্থানীয় মৎস্যজীবীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে পদ্মা নদীতে প্রচণ্ড স্রোত থাকায় জেলের বড় ধরনের কোনো মাছ পাচ্ছেন না। এরপরও মাঝেমধ্যে স্থানীয় লোকজনের পাশাপাশি মানিকগঞ্জ, পাবনা অঞ্চলের জেলেদের জালে বড় বড় মাছ ধরা পড়ছে।

জেলেরা জানান, মানিকগঞ্জের জাফরগঞ্জ এলাকার জেলে গোপাল হালদার সঙ্গীদের নিয়ে পদ্মা নদীতে মাছ ধরছিলেন। আজ বিকেল চারটার দিকে দৌলতদিয়া এলাকায় পদ্মা নদীর মোহনায় জাল ফেলেন তিনি। জাল গুটিয়ে নৌকায় তুলতেই দেখেন বড় একটি পাঙাশ মাছ। পরে মাছটি বিক্রির জন্য তিনি দৌলতদিয়ার ৬ নম্বর ফেরিঘাটে নিয়ে আসেন। সেখানে স্থানীয় আড়তদার কেছমত মোল্লার মাধ্যমে মাছটি নিলামে তোলা হয়। সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার মাছ ব্যবসায়ী আলমগীর মোল্লা মাছটি কিনে নেন।

মাছ ব্যবসায়ী আলমগীর মোল্লা প্রথম আলোকে বলেন, বিকেলে দৌলতদিয়ার ৬ নম্বর ফেরিঘাটে মাছটি নিয়ে আসেন জেলে গোপাল হালদার। স্থানীয় আড়তদার কেছমত মোল্লার মাধ্যমে নিলামে তুললে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে তিনি ১ হাজার ৩০০ টাকা কেজি দরে মোট ২০ হাজার ৮০০ টাকায় মাছটি কিনে নেন। পরে ঢাকার এক পরিচিত ব্যবসায়ীর কাছে কেজিপ্রতি ৫০ টাকা লাভে ২১ হাজার ৬০০ টাকায় মাছটি বিক্রি করে দেন।

গোয়ালন্দ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল শরীফ বলেন, সাধারণত পদ্মা বা যমুনা নদীতে পানি বাড়ার সময় বড় বড় মাছ ধরা পড়ে। আবার পানি অনেক কমে গেলে বড় মাছ ধরা পড়ে। তবে বর্তমানে নদীতে ব্যাপক স্রোত থাকায় জেলেরা তেমন মাছ পাচ্ছেন না। এর মধ্যেও মাঝেমধ্যে বড় বড় পাঙাশ, বাগাড় ধরা পড়ছে। এ ধরনের মাছ ধরা পড়ায় স্থানীয় জেলেরা অনেক লাভবান হচ্ছেন বলে তিনি মনে করেন।