অভয়নগরে অভিনব কায়দায় এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ৫ লাখ টাকা চুরি

যশোর জেলার মানচিত্র

যশোরের অভয়নগর উপজেলায় দিনদুপুরে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের একটি এজেন্ট ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান থেকে পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে গেছে প্রতারক চক্র। শনিবার দুপুরে উপজেলার বর্ণী বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং উদ্যোক্তা শরিফুল ইসলামের মুদিদোকানে চেতনানাশক ছিটিয়ে তাঁর বাবাকে অচেতনের পর ওই টাকা নিয়ে যান প্রতারকেরা। এ ঘটনায় আজ বিকেলে অভয়নগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই উদ্যোক্তা।

উদ্যোক্তা শরিফুল ইসলাম জানান, অভয়নগরের বর্ণী বাজারে তাঁর ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের একটি এজেন্ট ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান আছে। পাশেই মরিয়ম স্টোর নামে একটি মুদিদোকান আছে তাঁর। আজ দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে এজেন্ট ব্যাংকের টাকাগুলো মুদিদোকানে রেখে তিনি পাশের মসজিদে জোহরের নামাজ পড়তে যান। নামাজ শেষে ওই টাকা নিয়ে ব্যাংকে জমা দেওয়ার কথা ছিল। এ সময় তাঁর বাবা শহিদুল ইসলাম দোকানে ছিলেন।

শরিফুল প্রথম আলোকে বলেন, দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটের দিকে একটি সাদা রঙের প্রাইভেট কার এসে তাঁর দোকানের সামনে দাঁড়ায়। গাড়িটিতে একজন নারী, একটি শিশু, আনুমানিক ২০ বছরের এক তরুণ এবং ৫০ বছরের এক ব্যক্তি ছিলেন। এ সময় ওই তরুণ ও মধ্যবয়সী ব্যক্তি প্রাইভেট কার থেকে নেমে তাঁর দোকানের সামনে আসেন। তাঁদের নামিয়ে দিয়ে প্রাইভেট কারটি একটু দূরে বর্ণী মোড়ে গিয়ে দাঁড়ায়। এরপর মধ্যবয়সী ব্যক্তি দোকানে থাকা তাঁর বাবার কাছে এক হাজার টাকার একটি নোট খুচরা করে দিতে অনুরোধ করেন। তিনি নোটটি খুচরা করতে গেলে ওই দুজন মিলে দোকানের সামনে কিছু একটা ছিটিয়ে দেন। এতে তাঁর বাবা শহিদুল ইসলাম অচেতন হয়ে পড়েন। এরপর তাঁরা তিন থেকে চার মিনিটের মধ্যে দোকানের ড্রয়ারে থাকা প্রায় পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে প্রাইভেট কারে পালিয়ে যান।

শরিফুল আরও বলেন, ঘটনার কিছুক্ষণ পর বাজারের লোকজন দোকানে ঢুকে তাঁর বাবাকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁরা তাঁকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। আধা ঘণ্টা পর তাঁর চেতনা ফিরে আসে। পরে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর-৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ এসে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করে।

অভয়নগরের শ্রীধরপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) সামছুর রহমান বলেন, ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় উদ্যোক্তা শরিফুল ইসলাম থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে প্রতারক চক্র তাঁর এজেন্ট ব্যাংকের পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে গেছে বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁরা সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ যাচাই করে দেখছেন। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।