গাড়ি থেকে গরু লাফিয়ে পড়ল পথচারীর ওপর, হাসপাতালে মৃত্যু
রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের পাংশা উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পাংশা উপজেলার পৃথক দুটি স্থানে দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজন হলেন আজিদুর মণ্ডল (৫০) ও বিল্লাল হোসেন (২৫)। আজিদুরের বাড়ি পাংশা উপজেলার বাবুপাড়া গ্রামে। তাঁর বাবার নাম খায়বার আলী মণ্ডল। বিল্লাল কালুখালী উপজেলার কোমড়পুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
এর মধ্যে পিকআপ থেকে গরু লাফিয়ে পড়লে পথচারী আজিদুর মারা যান। আর কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার ছেঁউড়িয়ায় লালনের আখড়ায় যাওয়ার পথে বিল্লালের মৃত্যু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাত সোয়া ১০টার দিকে ইঞ্জিনচালিত নছিমনে ৮ থেকে ১০ জন লালনভক্ত কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার ছেঁউড়িয়ায় লালনের আখড়ায় যাচ্ছিলেন। পাংশা উপজেলার হেনার মোড়ে পৌঁছালে পেছন থেকে একটি গাড়ি নছিমনটিকে ধাক্কা দেয়।
এতে নছিমনে থাকা লালনভক্তরা ছিটকে পড়েন। তাঁদের মধ্যে বিল্লাল নছিমনের চাকার নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন। তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে রাত সাড়ে আটটার দিকে একটি পিকআপ কয়েকটি গরু নিয়ে কুষ্টিয়ায় যাচ্ছিল। পিকআপটি রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক সড়কের বাবুপাড়া এলাকায় পৌঁছালে একটি গরু লাফ দেয়। গরুটি পথচারী আজিদুরের গায়ের ওপর পড়ে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। তাঁকে উদ্ধার করে পাংশার একটি বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
পাংশা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এ কে এম হাসানুজ্জামান বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, পিকআপে গরু যথাযথভাবে নেওয়া হচ্ছিল না। গাড়িতে গরু বেঁধে রাখার জন্য বাঁশ বা অন্য কিছু ছিল না। এতে গরু সহজেই লাফ দিতে পেরেছে। পিকআপটি জব্দ করা হয়েছে। তবে পিকআপের চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছেন। অপর দিকে নছিমনকে ধাক্কা দেওয়া গাড়িটি শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের আপত্তি না থাকায় মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়নি। থানায় অপমৃত্যুর মামলা হবে।