মৃত্যু
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে মহরম আলী (৩৭) নামের এক যুবকের মৃত্যু নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, স্ট্রোক করে মহরমের মৃত্যু হয়েছে। তবে নাক দিয়ে রক্ত ঝরার পাশাপাশি মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়ায় দাফনের আগে বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে গেছে পুলিশ।

মহরম আলীর বাড়ি উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের কদমরসুল এলাকায়। সেখানকার সাগরপাড়ে ডাইনামিক রিসাইক্লিং শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড নামে একটি জাহাজভাঙা কারখানার পাশে সমুদ্রের চরে গতকাল শুক্রবার বিকেলে মহরম আলী স্ট্রোক করেন বলে দাবি পরিবারের।

কুমিরা নৌ পুলিশের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) এনামুল হক প্রথম আলোকে বলেন, পরিবারের সদস্যরা বলছেন, একটি ঠেলা জাল নিয়ে মহরম আলী এক ভাইসহ সাগরে মাছ ধরতে যাচ্ছিলেন। ওই সময় হঠাৎ চরের কাদামাটিতে লুটিয়ে পড়েন মহরম আলী। এরপর নাক দিয়ে রক্ত ঝরতে থাকে। কিছু দূরে থাকা তাঁর ভাই মহরম আলীকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় বিএসবিএ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হলে লাশ বাড়ি নিয়ে চলে যান।

এসআই এনামুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাটি ঘটেছে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে। খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড থানা–পুলিশের একটি দল প্রথমে ঘটনাস্থলে যান। পরে ঘটনাস্থল যেহেতু সাগরের চরে জাহাজভাঙা কারখানার পাশে, তাই নৌ পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে তিনি বাড়িতে গিয়ে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন।

সীতাকুণ্ড থানার ওসি তোফায়েল আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, মহরম আলীর মৃত্যুর খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড থানার পুলিশের একটি দলকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। তারা গিয়ে দেখতে পেয়েছে মহরম আলীর মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনাস্থল সমুদ্রের চরে বিধায় নৌ পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে। মাথায় আঘাত থাকায় অস্বাভাবিক মৃত্যু বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। ফলে প্রাথমিকভাবে সীতাকুণ্ড থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করবে নৌ পুলিশ। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে হত্যার বিষয়টি উল্লেখ থাকলে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে বলে জানান তিনি।