ভোলায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, হালকা বাতাস শুরু

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার সর্বদক্ষিণে ঢালচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম হাওলাদার আশ্রয়কেন্দ্রে আসা মানুষকে শুকনা খাবার দিচ্ছেন
ছবি: সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে ভোলার সব উপজেলায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছে। সঙ্গে আছে হালকা বাতাস। নদীর পানি স্বাভাবিক অবস্থায় আছে।

মনপুরা উপজেলার ওয়্যারলেস অপারেটর মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, তাঁদের কাছে খবর এসেছে, ঘূর্ণিঝড় মোখা রোববার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার, সেন্ট মার্টিন ও উত্তর মিয়ানমার উপকূলে আঘাত হানতে পারে।

শনিবার রাত ১০টার পর থেকে ভোলার দৌলতখান, মনপুরা, চরফ্যাশন, লালমোহন উপজেলাসহ সবখানে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে হালকা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। এসব উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলগুলোতে মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছে।

ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল চটকিমারা। এখানে প্রায় ৫ হাজার মানুষের বাস। কিন্তু সাইক্লোন শেল্টার আছে তিনটি। ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম বলেন, ‘লোকজনকে বুঝিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে এনেছি। তা-ও সবাই আসেনি।’

দৌলতখান উপজেলার মেঘনা নদীর মাঝের ইউনিয়ন মদনপুর। ইউপি সদস্য ফারুক দৌলত বলেন, রাত ১০টা থেকে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। সঙ্গে হালকা বাতাস। ২০০-২৫০ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছে। তাদের শুকনা খাবার দেওয়া হয়েছে।

চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচরের ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস সালাম বলেন, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও বাতাস বইছে। রাত একটার দিকে জোয়ার এসেছে। কিন্তু স্বাভাবিক আছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে লোকজন এসেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর মোখার কারণে গতকাল ভোলায় ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেত জারি করেছে।