সাভারে গ্যাসের চুলার আগুনে মা ও দুই মেয়ে দগ্ধ

অগ্নিকাণ্ড
প্রতীকী ছবি

সাভারের আশুলিয়ায় গ্যাসের চুলার আগুনে একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ হয়েছেন। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে আশুলিয়ার কাঠগড়ার আমতলা এলাকায় মো. আলী আহমেদের মালিকানাধীন মা ভিলা নামের বাড়ির একটি কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন ইয়াসমিন আক্তার (৪০), তাঁর বড় মেয়ে সীমা আক্তার (২০) ও ছোট মেয়ে সুমা আক্তার (১২)। সকালেই তাঁদের রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। ইয়াসমিন আক্তার গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী থানার মৃত ইসমাইলের স্ত্রী।

মা ভিলার ম্যানেজার মো. আবু ইউসুফ প্রথম আলোকে বলেন, তিন বছর আগে ইয়াসমিন মা ভিলার একটি কক্ষ ভাড়া নেন। আজ সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে ওই কক্ষে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে তিনি ও তাঁর দুই মেয়ে অগ্নিদগ্ধ হন। সকালেই তাঁদের উদ্ধার করে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।

আবু ইউসুফ আরও বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার রাতে গ্যাসের চুলা বন্ধ করতে ভুলে গিয়েছিলেন ইয়াসমিন। সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে ছোট মেয়ে সুমা আক্তার চুলায় ভাতের পাতিল বসিয়ে আগুন ধরাতে যায়। এ সময় সারা ঘরে আগুন ছড়িয়ে যায় এবং তাঁরা তিনজন দগ্ধ হন। পরে আমরা অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র ও পানি দিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলি। এরপর অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁদের ঢাকায় পাঠাই।’

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে থাকা ইয়াসমিনের খালাতো ভাই মো. সুজা প্রথম আলোকে বলেন, ‘চিকিৎসক আমাদের জানিয়েছেন, ইয়াসমিন ও সুমার শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। সীমার শরীরের ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাঁকে ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’

ওই ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন প্রথম আলোকে বলেন, দগ্ধ তিনজনের শরীরের ৫০ শতাংশের বেশি পুড়ে গেছে।