পঞ্চগড় সীমান্তে ভারতীয় নারী আটক, পরে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত দিল বিজিবি
পঞ্চগড় সীমান্তে বাংলাদেশ ভূখণ্ড থেকে ভারতীয় এক নারীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের ৭৬০ নম্বর মেইন পিলারের ১২ নম্বর সাব পিলার–সংলগ্ন জাহেরপাড়া এলাকায় ওই নারীকে আটক করেন বিজিবির জয়ধরভাঙ্গা বিওপির সদস্যরা। ওই নারীর আনুমানিক বয়স ৪০ বছর।
আটকের পর বিজিবির জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারী হিন্দি ভাষায় কথা বলছিলেন। এ সময় তিনি নিজের নাম কখনো ‘শান্তি’ কখনো ‘বাসন্তী’ বলেন। পরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সঙ্গে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ওই নারীকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়। ওই নারী মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানিয়েছে বিজিবি।
সন্ধ্যায় নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সকাল ১০টার দিকে সীমান্ত অতিক্রম করে ওই নারী চাকলাহাট ইউনিয়নের ৭৬০ নম্বর মেইন পিলারের ১২ নম্বর সাব পিলার–সংলগ্ন জাহেরপাড়া এলাকায় প্রায় ৫০০ গজ বাংলাদেশের ভেতর চলে আসেন। এ সময় তাঁকে জয়ধরভাঙ্গা বিওপির সদস্যরা আটক করেন। বিজিবির জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হিন্দি ভাষায় তাঁর বাড়ি দিল্লিতে এবং শ্বশুরবাড়ি বগুড়ায় বলে জানান। তবে তাঁর কথাবার্তা ও আচরণে অসংলগ্নতা দেখে তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন বলে ধারণা করে বিজিবি। এ বিষয়ে বিজিবির জয়ধরভাঙ্গা বিওপি কমান্ডার ভারতের ৯৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের শ্যাম ক্যাম্পের কমান্ডারকে বিষয়টি জানান এবং পতাকা বৈঠক আহ্বান করেন।
পরে ওই সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের ক্যাম্প কমান্ডার পর্যায় পতাকা বৈঠক হয়। পতাকা বৈঠকে ওই নারী ভারতীয় নাগরিক ও মানসিক ভারসাম্যহীন বলে শনাক্ত করে বিএসএফ। পরে পতাকা বৈঠক শেষে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আইনি প্রক্রিয়ায় ওই নারীকে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে বিজিবি।
বিজিবির জয়ধরভাঙ্গা বিওপির কমান্ডার নায়েব সুবেদার শহীদুল ইসলাম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, আটকের পর ওই নারীর কথাবার্তায় অসংলগ্নতা ছিল। তিনি কখনো নিজের নাম শান্তি কখনো বাসন্তী বলছিলেন। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন বলে মনে হয়েছে। তাঁর ভাষা শুনে তিনি ভারতীয় বলে শনাক্ত করেছে বিএসএফ। পরে পতাকা বৈঠকে বিএসএফ তাঁকে ফেরত নিতে চাইলে হস্তান্তর করা হয়েছে।