রাজবাড়ীতে সাবেক প্রতিমন্ত্রী কেরামত আলী দুই দিনের রিমান্ডে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের মামলায় রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলীর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সেই সঙ্গে একই ধরনের অভিযোগে আরেকটি মামলায় কাজী কেরামত আলীকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে রাজবাড়ী সদর আমলী আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. তামজিদ আহমেদ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। ৬ এপ্রিল দিবাগত রাতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল রাজধানীর মহাখালী এলাকা থেকে কাজী কেরামত আলীকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন রাজবাড়ী সদর থানায় দায়ের করা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
রাজবাড়ী কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক (সদর কোর্ট) মো. জসীম উদ্দিন জানান, ২০২৪ সালের ৩০ আগস্ট রাজবাড়ী সদর থানায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থী রাজবাড়ী সরকারি কলেজের ছাত্র রাজীব মোল্লা বাদী হয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা করেন। ওই মামলায় কেরামত আলীসহ ১৭০ জনকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়। অজ্ঞাত আসামি করা হয় আরও ৩০০ জনকে।
মামলার ২ নম্বর আসামি হিসেবে কেরামত আলীকে ৬ এপ্রিল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল রাজধানীর মহাখালী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন ৭ এপ্রিল দুপুরে তাঁকে রাজবাড়ী সদর আমলী আদালতে তোলা হয়। এ সময় আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাঁর জামিনের আবেদন জানান। বিজ্ঞ আদালতের বিচারক মো. তামজিদ আহমেদ জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর থেকে তিনি রাজবাড়ী জেলা কারাগারে অবস্থান করছেন।
রাজবাড়ী সদর থানায় দায়ের করা ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিকাইল হোসেন। মিকাইল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ওই মামলায় রিমান্ড শুনানির জন্য পূর্বনির্ধারিত তারিখ আজ ধার্য করা ছিল। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে কেরামত আলীকে রাজবাড়ী সদর আমলি আদালতে তোলার পর সাত দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হয়। আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজবাড়ী পুলিশ সুপারের গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
এ ছাড়া ২০২৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় রাজবাড়ী সদর থানায় শিক্ষার্থী জিসান খানের দায়ের করা মামলায় কেরামত আলীকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার উপপরিদর্শক এনায়েত শিকদার। শুনানি শেষে আদালত কেরামত আলীকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।