হত্যা মামলায় জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেপ্তার

জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মাত্রাই ইউপির চেয়ারম্যান আ ন ম শওকত হাবিব তালুকদার। গতকাল রোববার রাতে একটি হত্যা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়
ছবি: সংগৃহীত

জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কালাই উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আ ন ম শওকত হাবিব তালুকদার ওরফে লজিক তালুকদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি জমি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে একটি হত্যা মামলার প্রধান আসামি। এই মামলায় গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে মাত্রাই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি দল।

শওকত হাবিব তালুকদারকে গ্রেপ্তারের তথ্য আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন বগুড়া পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার কাজী এহসানুল কবীর।

পিবিআই ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে ২০১৯ সালের ৭ আগস্ট সকালে মাত্রাই এলাকায় মোজাহার আলী সরদার ও নুরুন্নবী নামের দুই ব্যক্তির মারামারি হয়। এ সময় মোজাহেরের স্ত্রী খোদেজা বেগম এগিয়ে এলে তাঁর মাথায় কোদাল দিয়ে আঘাত করা হয়। মোজাহের-খোদেজার ছেলে লুৎফর রহমান এগিয়ে এলে তাঁকেও আঘাত করা করা হয়। পরে দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করলে খোদেজা বেগম সেদিন দুপুরে মারা যান। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আ ন ম শওকত হাবিব তালুকদারকে হুকুমের আসামি করে ১৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন নিহতের স্বামী মোজাহার আলী সরদার।

মামলাটির তদন্ত করেন কালাই থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) মোখলেছুর রহমান ও জয়পুরহাট সিআইডির পরিদর্শক জিয়াউর রহমান। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে তাঁরা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে মামলার প্রথম তিন আসামিকে অব্যাহতি দিতে আদালতের কাছে আরজি জানানো হয়। অব্যাহতির কারণ হিসেবে বলা হয়, শওকত হাবিব ও মাহমুদুন্নবী সুজন ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। তাঁরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। আরেক আসামি মোফাজ্জল হোসেন মারা গেছেন। তবে মামলার বাদী মোজাহার আলী সরদার মারা যাওয়ায় আদালতের নির্দেশে তাঁর ছেলে লুৎফর রহমান বাদী হিসেবে এই অভিযোগপত্রে নারাজি দেন। এরপর আদালত মামলাটি পিবিআই বগুড়াকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

পিবিআই বগুড়ার পুলিশ পরিদর্শক জাহিদ হোসেন বলেন, ২০১৯ সালে জমি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মাত্রাই এলাকায় একটি হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় শওকত হাবিব তালুকদার আসামি ছিলেন। মামলাটি তদন্ত করে থানা-পুলিশ ও সিআইডি তিনজনকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে আদালতের নির্দেশে ওই মামলাটি পিবিআই তদন্ত করছে।