আশুলিয়ায় ফ্ল্যাটে বিস্ফোরণ থেকে আগুনে দগ্ধ ২

আগুনপ্রতীকী ছবি

ঢাকার অদূরে সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় একটি ফ্ল্যাটে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে অগ্নিকাণ্ডে দুজন দগ্ধ হয়েছেন। ওই ফ্ল্যাটটি একটি ফার্নিচারের গুদাম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। দগ্ধ ব্যক্তিদের ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

দগ্ধ ব্যক্তিদের একজন পাবনার আমিনপুরের রাজনারায়ণপুর গ্রামের মতিন মোল্লার ছেলে সুমন মোল্লা (৩০)। তিনি তামিম ফার্নিচারের ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করেন। দগ্ধ অন্যজন হলেন ওই ভবনের দ্বিতীয় তলার ভাড়াটে মাজেদা বেগম (৫৫)।

ফায়ার সার্ভিসের প্রাথমিক ধারণা, ওই ফ্ল্যাটে গ্যাসের লিকেজ থেকে জমা গ্যাসে বিস্ফোরণে ওই দুজন দগ্ধ হয়েছেন। তবে তামিম ফার্নিচারের মালিক রাকিবুল ইসলামের দাবি, ফ্ল্যাটটিতে রান্নাঘর থাকলেও সেখানে রান্নাবান্না করা হয় না। কোনো গ্যাসের সিলিন্ডারও নেই। এ ছাড়া ফ্ল্যাটের যে কক্ষটিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, সেই কক্ষের জানালার গ্রিলগুলো ভেতরের দিকে বেঁকে গেছে। বাইরে থেকে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে বলে দাবি তাঁর।

জিরাব মডার্ন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কর্মকর্তারা জানান, আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকায় শামসুদ্দিনের মালিকানাধীন পাঁচতলা বাড়ির নিচতলার একটি ফ্ল্যাটে অগ্নিকাণ্ডের খবর পান তাঁরা। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তবে আগুনের তীব্রতা কম থাকায় এর আগেই স্থানীয় লোকজনই আগুন নিভিয়ে ফেলেন।

দগ্ধ ব্যবস্থাপক সুমন মোল্লার বরাত দিয়ে তামিম ফার্নিচারের মালিক রাকিবুল ইসলাম বলেন, ব্যবস্থাপক ক্রেতা নিয়ে গুদামে প্রবেশ করেছিলেন। ওই ক্রেতা বের হয়ে যাওয়ার পর ফ্ল্যাটের পেছনের দিকে বিকট আওয়াজ হয়। এরপর গুদামে রাখা ফোমে আগুন ধরে যায়। এ সময় সুমন দগ্ধ হন। একই সময়ে বাসার দোতলা থেকে এক নারী বের হওয়ায় সময় তিনিও দগ্ধ হন। এখন দুজনকে নিয়ে বার্ন ইউনিটে আছেন। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চান রাকিবুল।

জিরাব মডার্ন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা আবু সায়েম মাসুম প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি, স্থানীয়রা আগুন নিভিয়ে ফেলেছে। তবে ধোঁয়া ছিল। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে গ্যাসের বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটছে। তবে তদন্তের পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’