সাজেকে পর্যটকের উপচে পড়া ভিড়, খালি নেই কোনো রিসোর্ট-কটেজ

শেষ বিকেলে পর্যটকদের ভিড় সাজেকের রুইলুই বিজিবি হেলিপ্যাড এলাকায়। আজ বিকেলেছবি: সুপ্রিয় চাকমা

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের রুইলুই ভ্যালিতে এখন পর্যটকের উপচে পড়া ভিড়। পর্যটনকেন্দ্রটিতে কোনো কক্ষই খালি নেই। ইতিমধ্যে ১১৫টি রিসোর্ট-কটেজে আগামী শনিবার পর্যন্ত সব কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।

রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার সাজেক ভ্যালিতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। রিসোর্ট-কটেজগুলোর সব কক্ষ ভাড়া হয়ে গেছে। তবে কক্ষ বুকিং না নিয়ে অনেক পর্যটক বেড়াতে গিয়েছেন। তাঁরা রিসোর্ট-কটেজের কক্ষগুলোতে গাদাগাদি করে রাত কাটিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সব কক্ষ আগাম বুকিং হয়েছে। এরপরও বুকিং ছাড়া সকাল সাড়ে ১০টা ও বেলা ৩টায় আরও অনেক পর্যটক সাজেকে এসেছেন।

আগামী শনিবার পর্যন্ত সাজেকের রিসোর্ট-কটেজের সব কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে গেছে বলে জানায় রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতি। তবে আজ সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কক্ষ বুকিং নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করছেন পর্যটকেরা। কিন্তু রিসোর্ট-কটেজমালিকেরা কোনো কক্ষ খালি নেই বলে জানিয়ে দিচ্ছেন। কক্ষ বুকিং না নিয়ে সাজেকে বেড়াতে গেলে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ি, স্টোররুম, ক্লাবঘর, মসজিদ কিংবা স্কুলঘরে রাত কাটাতে হবে। এর আগে গত শুক্রবার কক্ষ না পেয়ে অন্তত তিন শতাধিক পর্যটক রিসোর্ট-কটেজের বারান্দা, মসজিদ ও ক্লাবঘরে থেকেছেন।

সাজেকের পর্যটন ব্যবসা সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা গেছে, সাজেক ভ্যালিতে ১১৫টি রিসোর্ট-কটেজ রয়েছে। এসব রিসোর্ট-কটেজে অন্তত চার হাজার পর্যটক থাকতে পারেন।

সাজেক হিলভিউ রিসোর্টের মালিক ইন্দ্রজিৎ চাকমা বলেন, গত বুধবার থেকে আগামী শনিবার পর্যন্ত হিলভিউ রিসোর্টের সব কক্ষ ভাড়া হয়ে গেছে। একইভাবে রুইলুই ভ্যালির সব রিসোর্টের কক্ষই ভাড়া হয়ে গেছে। সাজেক ভ্যালিতে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এমন ভিড় থাকবে বলে জানান রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ণ দেব বর্মণ।