রুয়েটে পদোন্নতি ও নিয়মিত উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি

পদোন্নতি ও নিয়মিত উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি। রোববার দুপুরে
ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) চলতি দায়িত্বে থাকা উপাচার্যের পদত্যাগ, নিয়মিত উপাচার্য নিয়োগ ও পদোন্নতির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন অন্তত ৮০ জন শিক্ষক। আজ রোববার বেলা ১১টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত উপাচার্যের কার্যালয়ে তাঁরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষকেরা জানান, গত বছরের ৩ জুলাই থেকে চলতি দায়িত্বের উপাচার্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চলছে। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও নতুন উপাচার্য নিয়োগ না হওয়ায় তাঁরা পদোন্নতি পাচ্ছেন না। চলতি দায়িত্বের উপাচার্যের নিয়োগ ও পদোন্নতি দেওয়ার ক্ষমতা না থাকায় শিক্ষকদের পদোন্নতি হচ্ছে না। দ্রুত চলতি দায়িত্বের উপাচার্যের পদত্যাগ ও নিয়মিত উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে সমস্যার সমাধানের দাবি তাঁদের।

শিক্ষকেরা বলছেন, সাধারণত প্রতিবছর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে শিক্ষকদের পদোন্নতি ও আপগ্রেড করে রুয়েট কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত উপাচার্য না থাকায় গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে শেষ বিজ্ঞপ্তির পর আর কোনো বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি। সব শর্ত পূরণ করেও ১৫ মাসে অন্তত ৮০ জন শিক্ষক তাঁদের ন্যায্য পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

রুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রবিউল আউয়াল বলেন, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম শেখ গত বছরের জুলাই মাসে তাঁর মেয়াদকাল পূর্ণ করেন। এরপর আগস্ট মাসে উপাচার্যের দৈনন্দিন কার্য সম্পাদনে অ্যাপ্লায়েড সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ ফ্যাকাল্টির ডিন অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেনকে নিয়োগ দেয় সরকার। অথচ প্রকৌশল অনুষদের শিক্ষক ছাড়া অন্য কেউ উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। তাঁকে নিয়োগ দিতে নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিবের সঙ্গে কথা হয়েছে। উপসচিব জানিয়েছেন, চলতি দায়িত্বের উপাচার্যের পদোন্নতি দেওয়ার ক্ষমতা নেই। ফলে নতুন উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকদের পদোন্নতি দেওয়া সম্ভব নয়।