নিখোঁজের তিন দিন পর পুকুরে মিলল রিকশাচালকের লাশ
রংপুরের তারাগঞ্জে নিখোঁজের তিন দিন পর রিকশাচালক হযরত আলীর (২৫) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিস্তা সেচ ক্যানেলের পাশের একটি পুকুর থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।
হযরত আলী উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের মণ্ডলপাড়া গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে।
পুলিশ ও হযরত আলীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, সহায়–সম্বলহীন হযরত আলী পেশায় রিকশাচালক। তাঁর একার আয়ে স্ত্রী–সন্তানসহ পাঁচ সদস্যের সংসার চলে। গত বৃহস্পতিবার সকালে ভাড়ার উদ্দেশ্যে রিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন হযরত আলী। ওই দিন রাতে বাড়িতে না ফেরায় পরদিন পরিবারের লোকজন তাঁকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। গত শুক্রবার সকালে হযরত আলীর রিকশাটি শেরমস্ত শেরপুর তিস্তা সেচ ক্যানেল এলাকায় পাওয়া যায়। কিন্তু সেখানে হযরত আলীকে পাওয়া যায়নি। এরপর পরিবারের লোকজন ওই দিনই তারাগঞ্জ থানায় বিষয়টি জানান। পুলিশ ও পরিবারের লোকজন তাঁকে খুঁজতে শুরু করেন। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শেরমস্ত শেরপুর তিস্তা সেচ ক্যানেলের স্লুইসগেটের পাশে আফজালুল হকের পুকুর থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।
তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, হযরত আলীর নিখোঁজের বিষয়টি তাঁর পরিবার থানায় জানানোর সঙ্গেই পুলিশ তাঁকে উদ্ধারে তৎপর ছিল। আশপাশের পুকুরে গতকাল শনিবারও খোঁজা হয়েছিল। কুর্শা ইউনিয়নের শেরমস্ত শেরপুর মৌজার তিস্তা সেচ ক্যানেলের পাশের একটি পুকুরে তাঁর লাশ ভেসে ওঠে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পুকুরে ফেলা হয়েছে।