কুড়িগ্রামে চাঁদা দাবি করা জামায়াতের সেই নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার
কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলায় ব্যবসায়ীকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা বলে চাঁদা দাবি করা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতা আনিছুর রহমানকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে জামায়াতের রাজীবপুর উপজেলা শাখার সেক্রেটারি মো. আজিজুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়।
বহিষ্কৃত আনিছুর রহমান জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী সংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের রাজীবপুর উপজেলার সভাপতি। সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের জামায়াতে ইসলামীর রাজীবপুর উপজেলা শাখা কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় করা মামলা থেকে ব্যবসায়ীকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ ওঠে। এ–সংক্রান্ত ১ মিনিট ২১ সেকেন্ডের কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড এবং ১ মিনিট ২৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
আজ জামায়াতে ইসলামী রাজীবপুর উপজেলা শাখার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আনিছুরকে সাময়িক বহিষ্কারের কথা জানানো হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়া ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় উপজেলা জামায়াত নেতা আনিসুর রহমান ভুয়া স্কুল খুলে ২১ পরিবারকে নিঃস্ব করেছেন এবং বাবু নামের এক ব্যবসায়ীকে মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদানের আশ্বাস দিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেছেন মর্মে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে তা দায়ীত্বশীলদের দৃষ্টিগোচর হয়। সংগঠন প্রাথমিক খোঁজখবর নিয়ে ওই অভিযুক্তকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করে।
এ বিষয়ে রাজীবপুর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আজিজুর রহমান বলেন, জেলা জামায়াত আমিরের নির্দেশক্রমে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযুক্ত আনিসুর রহমান জামায়াতের কোনো নেতা নন, তিনি বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের একজন কর্মীমাত্র। তবু বিভিন্ন সংবাদপত্রে আনিসুর রহমানকে জামায়াতের নেতা উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে আনিছুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বহিষ্কারের নোটিশ আমি এখনো পাইনি। দল থেকেও আমাকে জানানো হয়নি।’