সিল্কের নাম কেন রাজশাহী সিল্ক, জানেন কি
দিনাজপুরের খেয়া দেবনাথ আর ঢাকার শর্মিষ্ঠা দেবনাথ দুই বোন। রাজশাহীতে এসে তাঁরা দুই হাতে সিল্কের শাড়ি কিনছিলেন। নিজেদের মধ্যে কথায় বলছিলেন, এই সিল্কের নাম রাজশাহী সিল্ক কেন? তখন মনে জাগে, আসলেই তো, এর নাম রাজশাহী সিল্ক কেন?
এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেখা গেল, আজ থেকে ৩০০ বছর আগে ‘রাজশাহী সিল্ক’ স্বনামে বিদেশে রপ্তানি হয়েছে। তখন রাজশাহী জেলার আয়তন ছিল প্রায় ১৩ হাজার বর্গমাইল। গল্পের মতো এই ঐতিহ্যের কারণেই সিল্ক দিয়ে রাজশাহী জেলার ব্র্যান্ডিং করা হয়েছে। রাজশাহীকে বলা হয় ‘সিল্ক হেভেন’। ২০১৭ সালে রাজশাহী সিল্ক ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে।
কথিত আছে, চীনের একটি প্রদেশে প্রথম সিল্ক বা রেশম উৎপাদনের কৌশল উদ্ভাবন করা হয়। বহু বছর সেটা গোপন ছিল। চীন থেকে খ্রিষ্টপূর্ব ১৪০ অব্দে কৌশলটি তিব্বতে যায়। সেটাও রূপকথার কাহিনির মতো। চীনের রাজকুমারীর বিয়ে হয়েছিল তিব্বতের এক রাজার সঙ্গে। স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার সময় রাজকুমারী সিল্কের মূল উপকরণ তুঁতগাছের বীজ ও পলু পোকার ডিম সঙ্গে নিয়ে যান। সেখান থেকেই খ্রিষ্টের জন্মের পর চতুর্থ শতাব্দীতে ভারতবর্ষে তুঁত চাষ ও পলুপালনের প্রক্রিয়া ছড়িয়ে পড়ে। প্রসার হয় রেশমের কাপড়ের।
রাজশাহী, মালদহ ও মুর্শিদাবাদের রেশমশিল্পের ওপর নির্ভরশীল হয়ে এসব পণ্যের প্রধান ক্রেতা ইউরোপের ওলন্দাজ, ফরাসি, ইংরেজ ও আর্মেনীয় ব্যবসায়ীরা ভাগীরথী তীরের কাশিমবাজারে বাণিজ্যিক কুঠি নির্মাণ করেছিলেন ১৬৫৮ খ্রিষ্টাব্দে। তাঁরা বাংলার বিভিন্ন এলাকায় উৎপাদিত রেশমি সুতা ও কাপড় সংগ্রহ করে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করতেন। তাঁদের মাধ্যমে এই পণ্যের নামকরণ হয়েছিল ‘বেঙ্গল সিল্ক’। পরে ‘রাজশাহী সিল্ক’ ও ‘মুর্শিদাবাদ সিল্ক’ নামে বিশেষভাবে পরিচিতি লাভ করে এগুলো।
১৭২২ সালে মুর্শিদকুলি খাঁ বাংলায় ‘রাজশাহী জমিদারি’ প্রতিষ্ঠা করেন। তখন বর্তমান রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, বগুড়া, পাবনা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং বর্তমান মুর্শিদাবাদের লালবাগ মহকুমার রানীনগর ও ইসলামপুর, বহরমপুর মহকুমার ডোমকল, হরিহরপাড়া ও নওদা ছিল রাজশাহীর মধ্যে। মাগুরা জেলাও এই জমিদারির মধ্যে ছিল। ডোমকল ও ইসলামপুরে ব্যাপক রেশম চাষ হতো। এখনো হয়। ১৭৬৫ সালে যখন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সম্রাটের কাছ থেকে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার রাজস্ব আদায়ের সনদ পায়, তখন তারা এই বিরাট অঞ্চলকে রাজশাহী জেলা হিসেবেই গণ্য করত। পরবর্তী ৫০ বছরের মধ্যে তারা প্রশাসনিক ও বিচারব্যবস্থা থেকে সবকিছুর মালিকানা পেয়ে যায়। তখন এই এলাকায় যা রেশম হতো, তা রাজশাহী সিল্ক নামেই দেশে-বিদেশে পরিচিতি পায়।
পোকার লালায় রেশমের সুতা
পলু পোকাকে (রেশমকীট) তুঁতগাছের পাতা খেতে দেওয়া হয়। পোকার জীবনকাল বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কচি পাতা থেকে অপেক্ষাকৃত বয়সী পাতা দেওয়া হয়। দিনে চারবার তাদের পাতা দিতে হয়।
পাতা খেয়ে পলু পোকার মুখ থেকে লালা নিঃসরিত হয়। এই লালা দিয়ে রেশম পোকা নিজের শরীরের চারদিকে একটি গুটির মতো আবরণ তৈরি করে। একটি নির্দিষ্ট সময় পর এই গুটিগুলো গরম পানিতে ডুবিয়ে ভেতরের পোকাকে মেরে ফেলা হয়। এই গুটিই হচ্ছে রেশমগুটি। পরে গুটি থেকে সুতা কাটা হয়। আর সময়মতো পোকাকে মারতে না পারলে সে গুটি কেটে বাইরে বের হয়ে আসে। তখন সুতা নষ্ট হয়ে যায়। এই সুতার মাধ্যমে কাপড় তৈরি করা হয়।
পরতে পরতে রেশমের গল্প
রেশম ব্যবসার জন্য ওলন্দাজরা ১৭২৫ থেকে ১৭৫০ সালের মধ্যে রামপুর-বোয়ালিয়ায় (বর্তমান রাজশাহী শহরে) রেশম কারখানা স্থাপন করে, যেটা বড়কুঠি নামে পরিচিত। ১৭৭০ থেকে ১৭৮০ সালের দিকে সরদহতে দ্বিতীয় কারখানাটি হয়। পরে তা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি নিয়ে নেয়।
রাজশাহী নগরের ডায়মন্ড জুবিলি স্কুল কমিটি ১৮৯৮ সালে একটি রেশম স্কুল প্রতিষ্ঠা করে। উদ্দেশ্য ছিল বিজ্ঞানভিত্তিক প্রশিক্ষণ দিয়ে অভিজ্ঞ ও দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা। তখন দীঘাপতিয়ার জমিদার প্রমদা নাথ রায় স্কুলের জন্য ৩৪ বিঘা জমি দান করেন। অবিভক্ত বাংলার সরকার স্কুলটি অনুমোদন করে। ১৯০৭ সালে স্কুলটি সরকারের কাছে প্রত্যর্পণ করা হয়। রেশমশিল্পের বিভিন্ন শাখার উন্নতি সাধনে স্কুলটি শত বছর ধরে অবদান রাখে।
নগরের একটি মহল্লার নাম এখনো রেশমপট্টি। অষ্টাদশ ও ঊনবিংশ শতাব্দীতে বোয়ালিয়া (বর্তমান রাজশাহী শহর) ও আশপাশের এলাকায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ছোট ছোট দেশীয় প্রতিষ্ঠান করে ইউরোপীয় কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে রেশম সুতা ও রেশমজাত পণ্যের ব্যবসা করতেন। এর মধ্যে রেশমপট্টিতে কুঠি স্থাপন করেছিলেন খা সাহেব, গদু বাবু, নগেন দাস, ফুল চাঁদ ও মিয়াজান। কয়েক বছর আগে সড়ক সম্প্রসারণের জন্য তাঁদের স্মৃতিবিজড়িত ভবনগুলো ভেঙে ফেলা হয়।
ইতিহাসবিদদের মতে, অষ্টাদশ শতাব্দীতে রাজশাহীর রেশম সুতাকল স্বনামধন্য ছিল। ১৯০৯ সালের হিসাব অনুযায়ী, জেলায় ৪ লাখ পাউন্ড রেশম সুতা উৎপাদিত হয়। গবেষক মাহাবুব সিদ্দিকী জানান, এ দাবিতেই ২০১৭ সালে রাজশাহী সিল্ক জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
পাকিস্তান আমলে ১৯৬২ সালে রাজশাহীতে রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হয়। একই সময় নগরের সুলতানাবাদ এলাকায় সাড়ে ১৫ বিঘা জমির ওপর স্থাপিত হয় রেশম কারখানা। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর রেশমশিল্প সম্প্রসারণের জন্য ১৯৭৭ সালে ‘বাংলাদেশ রেশম বোর্ড’ প্রতিষ্ঠিত হলে গবেষণাপ্রতিষ্ঠানটি বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ সিল্ক ফাউন্ডেশন নামে সমান্তরাল আরেকটি প্রতিষ্ঠান চালু করা হয়। কিন্তু কোনো সুফল না পাওয়ায় ২০১৩ সালের ৬ মার্চ বাংলাদেশ রেশম বোর্ড; রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এবং সিল্ক ফাউন্ডেশন—এই তিনটি প্রতিষ্ঠানকে একীভূত করে হয় ‘বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড’। এটি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। এর প্রধান কার্যালয় রাজশাহীতে।
রেশমের কী হালচাল
ঋণের কারণে ২০০২ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া রেশম কারখানাটি ২০১৮ সালে খোলা হয়। বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, বন্ধ ঘোষণার সময় কারখানায় মোট ৬৩টি লুম ছিল। তখন কারখানাটি বছরে ১ লাখ ১৬ হাজার গজ রেশমের কাপড় উৎপাদন করত। এখন ২০টি লুম চালু আছে। বছরে ৬ হাজার গজ কাপড় হয়।
কারখানার দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী পারুল বেগম (৫৫) বলেন, তিনি ২২ বছর ধরে এ কাজ করছেন। কারখানা যত দিন বন্ধ ছিল, তত দিন বাইরে কাজ করেছেন। কারখানা চালুর পর তিনি আবার যোগ দিয়েছেন। দৈনিক হাজিরায় তিনি ৩০০ টাকা করে মজুরি পান। আজকের দিনে এই মজুরিতে মাঠের একজন শ্রমিকও কাজ করেন না। তিনি কাজ জানেন, তাই বসে না থেকে এই টাকাতেই কাজ করেন।
এখানে যে সিল্ক কাপড় উৎপাদিত হয়, তা কারখানার সীমানার মধ্যে বিক্রয়কেন্দ্র থেকে বিক্রি করা হয়। তবে প্রচার-প্রসার না থাকায় ক্রেতা কম। ভিন্ন চিত্র রাজশাহী নগরের বিসিক এলাকার সপুরা সিল্ক মিলসে। সেখানকার বিক্রয়কেন্দ্রে উপচে পড়া ভিড়। শুধু যে রাজশাহীর মানুষ এখান থেকে সিল্কের পণ্য কিনেন, এমন নয়; দেশের বিভিন্ন এলাকার ক্রেতা এখানে আসেন।
দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। টাকার সংস্থান হচ্ছে না, ফলে সিল্কের অপার সম্ভাবনাটি ঝুলে আছে।
সেই ক্রেতাদের মধ্যে ছিলেন স্কুলশিক্ষক খেয়া দেবনাথ আর তাঁর ব্যাংকার বোন শর্মিষ্ঠা দেবনাথ। আলাপে শর্মিষ্ঠা দেবনাথ বলেন, ‘যা দেখছি, সেটাই কিনতে ইচ্ছা করছে। সব তো আর কেনা যায় না! তাই সিল্কের মসলিন, ব্লক প্রিন্ট ও মটকার শাড়ি নিয়েছি। রাজশাহী এসে সিল্ক না নিলে বেড়ানোই সার্থক হয় না।’
রেশমের বিকাশে যত বাধা
নাম রাজশাহী সিল্ক হলেও এই সিল্ক কাপড়ের অধিকাংশ এখন বোনা হয় বিদেশি সুতা দিয়ে। ১৫০ শতাংশ থেকে শুল্ক সাড়ে ৭ শতাংশে নামিয়ে বিদেশ থেকে সুতা আমদানির অনুমতি দিয়ে ঐতিহ্যবাহী এই শিল্পকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে, এমনটাই অভিযোগ এ খাতের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের। এখন দেশে এই শিল্পের চাহিদার মাত্র ১০ শতাংশ সুতা হয়। অথচ রাজশাহীর বিজ্ঞানীরা এমন একটি উপায় উদ্ভাবন করেছেন, যার মাধ্যমে দেশের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত সুতা বিদেশে রপ্তানি করা যাবে। উদ্যোগের অভাবে সেই প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়ে আছে।
বাংলাদেশ রেশম শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি মো. লিয়াকত আলী বলেন, রাজশাহী সিল্কের চাহিদা বেড়েছে। তবে তাঁরা চাহিদা অনুযায়ী কাপড় সরবরাহ করতে পারছেন না। সংকট মূলত সুতার। দেশে বছরে ৪০০ থেকে ৪৫০ টন সুতার চাহিদা। আর স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হচ্ছে মাত্র ৪০ টন। চীন বছরে নয়বার সুতা উৎপাদন করছে, ভারত ছয়বার করছে। বাংলাদেশে চারবার হয়। গরম আবহাওয়ার কারণে দুবার ভালো হয় না। গবেষণার মাধ্যমে উৎপাদন বাড়াতে হবে, অন্তত ছয় ঋতুতে ছয়বার।
চাষিরা এখনো প্রধান ফসল হিসেবে তুঁত চাষ করেন না। কারণ, কৃষি ফসল হিসেবে তাঁদের স্বল্প সুদে কৃষিঋণ দেওয়া হয় না। এখনো বাড়ির আনাচকানাচে, রাস্তার ধারে পরিত্যক্ত জায়গায় তুঁত চাষ হয়। ফলে সিল্কের মূল উপকরণ যে সুতা, সেটার উৎপাদন খুবই কম হয়। সেই সুতায় রাজশাহী সিল্কের কাপড়ও বেশি বোনা যায় না।
সুদিন ফেরাতে করণীয় কী
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক এম মনজুর হোসেনের নেতৃত্বে একদল গবেষক গবেষণায় দেখিয়েছেন, বছরে ৪ বার নয়, ৩০ বার রেশমগুটি থেকে সুতা আহরণ করা সম্ভব। এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড একটি প্রকল্প হাতে নেয়। এ প্রকল্পের আওতায় রেশম বোর্ডের মাঠে একটি আধুনিক পলুপালন ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ২০২৩ সালে সেখানে গবেষকেরা সফলভাবে নমুনা উৎপাদন করে দেখিয়েছেন।
পরিকল্পিতভাবে উদ্যোগ নিয়ে প্রাইভেট সেক্টরকে জাগাতে হবে। এই খাতে অন্তত ১৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ আছে।
এম মনজুর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ তাঁরা সফলভাবে শেষ করেছেন। এখন দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। এই ঘর শীতাতপনিয়ন্ত্রিত। তাঁরা এয়ারকুলার দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে কাজ করেছেন। কিন্তু রেশম বোর্ড থেকে কেন্দ্রীয় শীতাতপনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাসহ পরবর্তী প্রকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই টাকার সংস্থান হচ্ছে না, ফলে সিল্কের অপার সম্ভাবনাটি ঝুলে আছে। তিনি দাবি করেন, তাঁদের সুতার মান অত্যন্ত উন্নত হবে। তাঁদের প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে সুতা বিদেশেও রপ্তানি করা যাবে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের সদ্য সাবেক মহাপরিচালক এম এ মান্নান প্রথম আলোকে বলেছিলেন, দুটি প্রকল্প দ্বিতীয় পর্যায়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার আলোকে রেশমের সুন্দর ভবিষ্যতের বিষয়ে কথা বলেন বাংলাদেশ রেশম শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি মো. লিয়াকত আলী। তিনি বলেন, পরিকল্পিতভাবে উদ্যোগ নিয়ে প্রাইভেট সেক্টরকে জাগাতে হবে। বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের ১১টি নার্সারি আছে। এর অন্তত একটি নার্সারি প্রাইভেট সেক্টরকে পাঁচ বছরের জন্য ইজারা দেওয়া হোক। প্রণোদনা দেওয়া হোক। তাহলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে সুতা বাইরে রপ্তানি করা যাবে। পুকুরপাড়ে রেশম চাষের ব্যবস্থা করতে পারলে পরিত্যক্ত পোকাগুলো মাছের খাবার হতে পারে। এর ভেতরে যে লালা আছে, সেটা গোখাদ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই খাতে অন্তত ১৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ আছে। সবাইকে কাজে লাগানো গেলে রাজশাহী সিল্কের সুদিন কেউ ঠেকাতে পারবে না!