দ্বিতীয় স্ত্রীকে খুনের দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

আদালত
প্রতীকী ছবি

লালমনিরহাটে দ্বিতীয় স্ত্রীকে খুনের দায়ে মো. নুর আলম নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অন্য চার আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।


লালমনিরহাটের দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মিজানুর রহমান গতকাল রোববার দুপুরে এ আদেশ দেন। দণ্ডিত নুর আলম জেলার হাতীবান্ধার চর সিন্দুর্না গ্রামের বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁকে পুলিশি পাহারায় লালমনিরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২১ মে সকালে নুর আলমের দ্বিতীয় স্ত্রী সবুজা বেগমের মৃত্যু হয়। মুঠোফোনে খবর পেয়ে সবুজা বেগমের বাবার বাড়ির লোকজন সেখানে উপস্থিত হন। তাঁরা দেখতে পান, নুর আলমের বাড়ির একটি কক্ষের ভেতর থাকা বাঁশের তৈরি চাংরার ওপর সবুজা বেগমের লাশ। তাঁর শরীরের বিভিন্নস্থানে জখম। এ ঘটনায় হাতীবান্ধা থানায় সবুজার মা ছকিনা বেগম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০২০ সালের ২১ মে ভোর আনুমানিক সাড়ে পাঁচটার দিকে সবুজা বেগমকে আসামিরা অত্যাচার ও শ্বাস রোধে হত্যা করে লাশ বাঁশের চাংরার ওপর রেখে পালিয়ে যান। এরপর পুলিশ আসামি মো. নুর আলমকে গ্রেপ্তার করে। তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। নুর আলম ছাড়া অন্য আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাতীবান্ধা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু বক্কর সিদ্দিক ২০২১ সালের ২৫ জানুয়ারি লালমনিরহাটের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২১ সালের ২৪ মার্চ বিচার শুরু হয়।

লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আকমল হোসেন আহমেদ বলেন, দ্বিতীয় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে আদালত মো. নুর আলমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় অন্য চার আসামিকে মামলা থেকে খালাস দিয়েছেন আদালত। তাঁরা হলেন—নুর আলমের প্রথম স্ত্রী রোপিতা বেগম ওরফে রফিকা, শ্যালক মো. বেলাল হোসেন, মিঠু মিয়া ও শাশুড়ি মোছা. বেগম। নুর আলম এই মামলায় যত দিন হাজত বাস করেছেন, তা ঘোষিত দণ্ড থেকে বাদ যাবে।