সরাইলে এসআইকে মারধর করে হাতকড়াসহ যুবককে ছিনতাই, গ্রেপ্তার ২

হাতকড়াপ্রতীকী ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানার এক উপপরিদর্শককে (এসআই) মারধর করে আটক ব্যক্তিকে হাতকড়াসহ ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার বিকেলে সরাইল-অরুয়াইল সড়কের ভূইশ্বর বাজার এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ভুক্তভোগী ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম বাবুল হোসেন। তিনি গতকাল রাতে ৪০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে গতকাল রাতেই জয়নাল আবেদিন ও জিহাদ মিয়া নামের দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেলে পাকশিমুল অস্থায়ী পশুর হাটে ভূইশ্বর গ্রামের জসিম উদ্দিন (৩৮) নামের এক ব্যক্তি একটি মহিষ কেনেন। হাটের হাসিল কম দেওয়া নিয়ে ইজারাদারদের সঙ্গে তাঁর হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এর কিছুক্ষণ পর নিজের লোকজন নিয়ে সরাইল-অরুয়াইল সড়কের ভূইশ্বর বাজার এলাকায় অবস্থান নেন জসিম উদ্দিন। পাকশিমুল গ্রামের বাসিন্দাদের সেখানে আটক করে মারধর করতে থাকেন তাঁরা। পাকশিমুল গ্রামের বাসিন্দাদের উপজেলা বা জেলা সদরে যাতায়াতের জন্য বিকল্প কোনো পথ না থাকায় ভূইশ্বর বাজারের ওপর দিয়ে যাতায়াত করতে হয়।

আরও পড়ুন

পাকশিমুল গ্রামের বাসিন্দাদের পথে আটকে মারধরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান সরাইল থানার এসআই বাবুল হোসেন। এ সময় দলনেতা জসিম উদ্দিনকে আটক করে হাতকড়া পরানো হলে গ্রামের শতাধিক লোক বাবুল হোসেনকে ধাওয়া দিয়ে মারধর করেন। এতে তিনি আহত হন। তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর থেকেই ভূইশ্বর বাজারের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ আছে। গ্রামটির অধিকাংশ পুরুষ বাসিন্দা গা ঢাকা দিয়েছেন।

তুচ্ছ ঘটনায় ভূইশ্বর গ্রামের লোকজন একত্র হয়ে পাকশিমুলের বাসিন্দাদের মারধর করছিলেন। পরে পুলিশ দায়িত্বপালন করতে গেলে গ্রামবাসী এসআই বাবুলের ওপর চড়াও হয়। বাবুল হোসেনের মাথায়, সারা শরীরে আঘাত করা হয়েছে। তাঁর মাথায় তিনটি সেলাই লেগেছে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমরানুল ইসলাম

অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমরানুল ইসলাম। তিনি বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় ভূইশ্বর গ্রামের লোকজন একত্র হয়ে পাকশিমুলের বাসিন্দাদের মারধর করছিলেন। পরে পুলিশ দায়িত্বপালন করতে গেলে গ্রামবাসী এসআই বাবুলের ওপর চড়াও হয়। বাবুল হোসেনের মাথায়, সারা শরীরে আঘাত করা হয়েছে। তাঁর মাথায় তিনটি সেলাই লেগেছে। জসিম উদ্দিনসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।