ছাত্রদলের পদে থাকায় তরুণকে কর্মস্থলে যেতে নিষেধ করার অভিযোগ, প্রতিবাদে একাই মানববন্ধনে

ছাত্রদলের পদে থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে এক তরুণকে বেতন বন্ধসহ কর্মস্থলে যেতে নিষেধ করার অভিযোগ উঠেছে। রোববার দুপুরে উপজেলার শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে একা দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করেন ওই তরুণ
ছবি: প্রথম আলো

ছাত্রদলের পদে থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে কর্মরত এক তরুণকে দুই মাসের বেতন বন্ধসহ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কর্মস্থলে যেতে নিষেধ করেছেন বলে তাঁর অভিযোগ। আজ রোববার দুপুরে উপজেলার শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে একা মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে ওই তরুণ বেতন–ভাতাসহ কর্মস্থলে পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন।

ওই তরুণের নাম মামুন মিয়া (২৫)। তিনি সদর ইউনিয়নের নাসিরপুর গ্রামের অলি মিয়ার ছেলে এবং সদর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসভাপতি। তিনি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ন্যাশনাল সার্ভিস উন্নয়ন কর্মসূচির অষ্টম পর্বে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়ে নাসিরনগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে কর্মরত ছিলেন।

দুপুরে একা একটি ব্যানার নিয়ে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আসেন মামুন। তিনি দাবি করেন, বেকারত্ব সমস্যা দূরীকরণে সরকারের পাইলট প্রকল্প ‘ন্যাশনাল সার্ভিস উন্নয়ন কর্মসূচি’র অষ্টম পর্বে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে মনোনীত হন। পরে যুব উন্নয়ন কার্যালয় থেকে নাসিরনগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ে তাঁকে পদায়ন করা হয়। সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। আড়াই মাস আগে উপজেলার কলেজ মোড়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। তখন উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিনকে আহতাবস্থায় চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেই ছবি দেখে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. নূরে আলম ক্ষিপ্ত হন। এরপর মাসিক বেতনের প্রত্যয়নপত্র নিতে গেলে তাঁকে কর্মস্থলে যেতে নিষেধ করেন। কারণ হিসেবে ছাত্রদল করার কথা বলেন তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. নূরে আলম বলেন, ‘ওই তরুণ কাজে অনিয়মিত এবং দীর্ঘদিন ধরে কার্যালয়ে আসেন না। তাই যুব উন্নয়ন কার্যালয় তার বেতন বন্ধ করেছে। আমি তাঁকে কার্যালয়ে আসতে বা হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে নিষেধ করিনি। আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ সত্য নয়।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তাঁর কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি।