ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে নাজিরপুর উপজেলা বিএনপির ৫ নেতা–কর্মী কারাগারে

নাজিরপুর উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আবু হাসান খান
ছবি: সংগৃহীত

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আবু হাসান খানসহ পাঁচজনকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে ওই পাঁচজন পিরোজপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-৩-এ হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। বিচারক গোলাম রসুল আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী খায়রুল বাশার প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এই পাঁচজন হলেন নাজিরপুর উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আবু হাসান খান, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোল্লা শফিকুর রহমান, উপজেলার শ্রীরামকাঠি ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, মালিখালী ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য মোস্তফা কামাল ও পিরোজপুর সদর উপজেলার কলাখালী গ্রামের বিএনপি কর্মী মিলন খান। এ মামলার আরেক আসামি কাউখালী উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব এইচ এম দ্বীন মোহাম্মদ ১০ দিন কারাভোগ করে ১ ফেব্রুয়ারি জামিনে মুক্ত হয়েছেন।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর আবু হাসান খান তাঁর ফেসবুক পেজে সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, তাঁর পরিবার এবং ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচন নিয়ে আপত্তিকর লেখা পোস্ট দেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর নাজিরপুর উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আবু হাসান খান তাঁর ফেসবুক পেজে পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, তাঁর পরিবার এবং ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আপত্তিকর লেখা পোস্ট দেন। ওই লেখায় শ ম রেজাউল করিম সম্পর্কে মানহানিকর, রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী অনেক কথা ছিল। ২৫ সেপ্টেম্বর এ ঘটনায় নাজিরপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন খান বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে নাজিরপুর থানায় নয়জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।

মামলার প্রধান আসামি আবু হাসান খানের ফেসবুকে করা পোস্টে অন্য আসামিরা মন্তব্য করায় তাঁদের আসামি করা হয়।