ইতালিতে থাকতে প্রেমের পর দেশে এসে ‘ধর্ষণ’, গোপনে বিয়ে অন্যজনকে

ধর্ষণ
প্রতীকী ছবি

রাহাত মিয়া (২৯) ইতালিতে থাকতে মুঠোফোনে আট মাস প্রেম করেন নারায়ণগঞ্জের এক তরুণীর সঙ্গে। দেশে ফিরে অন্য একজনকে বিয়ে করেন। তবে এই তথ্য প্রেমিকার কাছে গোপন করে তাঁকেও বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।

এসব অভিযোগে আজ রোববার রাহাত মিয়ার বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় মামলা করেন নারায়ণগঞ্জের ওই তরুণী। মামলায় ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে আরও দুজনকে আসামি করা হয়েছে।

রাহাত মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চন্দ্র গ্রামের মৃত কাশেম মিয়ার ছেলে। তিনি কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌর শহরের কমলপুর এলাকায় মামা হানিফ মিয়ার বাসায় থাকছিলেন।

এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন, রাহাত মিয়ার মামা হানিফ মিয়া (৪৫) ও হানিফের বাসার ভাড়াটিয়া রাবেয়া বশরী (৫০)।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ইতালিতে থাকার সময় আট মাস আগে নারায়ণগঞ্জের ওই তরুণীর সঙ্গে প্রেম হয় রাহাত মিয়ার। ওই সময় তিনি প্রেমিকাকে বলেন, ১৩ মার্চ দেশে আসবেন। এসেই বিয়ে করবেন। এরপর ১৩ মার্চ দেশে এসে পরদিন নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ গিয়ে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করেন। বিয়ে করার কথা বলে ১৬ মার্চ তাঁকে ভৈরব নিয়ে আসেন। পরে ভৈরবের একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এর পর থেকে তাঁকে এড়িয়ে চলতে থাকেন রাহাত।

গ্রেপ্তার হানিফ মিয়া দাবি করেন, ভাগ্নে রাহাত মিয়ার সঙ্গে মেয়েটির সম্পর্কের বিষয়ে কিছু জানতেন না তাঁরা। রাবেয়া বশরীর ভাষ্য, ঘটনাটি শুধু শুনেছেন। তবে এ বিষয়ে কথা বলতে রাহাত মিয়ার মুঠোফোনে কল করে বন্ধ পাওয়া যায়।

নারায়ণগঞ্জের ওই তরুণী প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাহাত মিয়া আমাকে প্রায়ই বিয়ে করার কথা বলত। এভাবে ভৈরব নিয়ে তিনি আমাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এরপর তাঁর আচরণ সম্পূর্ণ পাল্টে যায়। আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। পরে শুনি, তিনি আরেক তরুণীকে বিয়ে করেছেন, যে তথ্য আমাকে জানাননি।’

মামলাটি তদন্ত করছেন ভৈরব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নারায়ণগঞ্জের ওই মেয়েটিকে ধর্ষণের দুয়েক দিন আগে বিয়ে করেন রাহাত মিয়া। ওই তথ্য গোপন রেখে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করেন তাঁকে।