দৌলতদিয়ায় যৌনকর্মীকে হত্যার পর লাশ ওয়ার্ডরোবে রেখে পালাল খুনি

দৌলতদিয়ায় যৌনকর্মীকে হত্যার পর ওয়ার্ডরোবের ড্রয়ারে লুকিয়ে রেখে পালায় খুনি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করেছবি: প্রথম আলো

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া পূর্ব পাড়া যৌনপল্লি থেকে এক যৌনকর্মীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে গোয়ালন্দ ঘাট থানা-পুলিশ যৌনপল্লির সরোয়ার মণ্ডলের বাড়ির দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষের ওয়ার্ডরোব থেকে লাশটি উদ্ধার করে।

ওই যৌনকর্মীকে মুঠোফোন চার্জারের কেব্‌ল দিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যার পর ওয়ার্ডরোবের ভেতর রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। পুলিশ আলামত হিসেবে গলায় প্যাঁচানো মুঠোফোনের কেব্‌ল চার্জার, একটি মুঠোফোন, অ্যাশট্রে জব্দ করেছে।

এর আগে গতকাল সোমবার সকালে দৌলতদিয়া যৌনপল্লি-সংলগ্ন একটি পরিত্যক্ত ডোবার পাশে নজরুল ব্যাপারী (৩০) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে নজরুলের বাড়ি প্রায় ১০০ গজ দূরে।

সরেজমিন দেখা যায়, বাড়িতে যৌনকর্মীদের পাশাপাশি উৎসুক লোকজনের ভিড়। বাড়িটির দ্বিতীয় তলায় পশ্চিম-উত্তর দিকে একটি কক্ষে ভাড়াটে হিসেবে বসবাস করতেন ওই যৌনকর্মী।

বাড়ির ভাড়াটে এক যৌনকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আজ সকাল ৯টার দিকে তাকে (যৌনকর্মী) বাড়ির গেটে দেখেছি। এ সময় ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সী এক যুবক তাঁর ঘরে প্রবেশ করেন। ঘণ্টাখানেক পর ওই যুবক ঘর থেকে বের হলেও সে (যৌনকর্মী) আর বের হয়নি। দুপুর গড়িয়ে গেলেও তাকে না দেখে আমরা সবাই খুঁজতে থাকি। বিকেল পাঁচটার দিকে ঘরের ওয়ার্ডরোব খুলতেই দেখি, তাকে মেরে উপুড় করে ফেলে রাখা। সঙ্গে সঙ্গে আমরা যৌনপল্লির পুলিশ বক্সে খবর দিই।’

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবু রাসেল, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) উত্তম কুমার ঘোষ।

ওসি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় ওয়ার্ডরোবের ড্রয়ার থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর গলায় মুঠোফোনের চার্জার কেব্‌ল দিয়ে শ্বাস রোধ করে প্যাঁচানো দাগ পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শ্বাস রোধ করে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।