অধিকাংশ প্রার্থী আচরণবিধি মানছেন না, অভিযোগ রিটার্নিং কর্মকর্তার

প্রথম আলো

প্রার্থীরা আচরণবিধি মানছেন না, অভিযোগ রিটার্নিং কর্মকর্তার
লেবেল: মতবিনিময় সভা
প্রার্থীরা সভা সমাবেশ করলেও নিয়ম অনুযায়ী
রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানান না। এ জন্য নিরাপত্তা
দিতে সমস্যা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আচরণবিধি মেনে চলছেন না বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রামের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
গতকাল শনিবার দুপুরে নগরের সার্কিট হাউসে চট্টগ্রাম জেলার নয়টি আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন। এ সময় চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহও উপস্থিত ছিলেন। এর আগে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন তাঁরা। সেখানে প্রার্থীরা নানা অভিযোগ করেন পরস্পরের বিরুদ্ধে। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।
সাতকানিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে গোলাগুলির ঘটনা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রিটার্নিং কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রার্থীরা যে সভা–সমাবেশ করছেন, আচরণবিধিমালা অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টা আগে এসবের জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি নিতে হয়। রিটার্নিং কর্মকর্তা পুলিশ সুপার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কিংবা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানালে তাঁরা পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নিতে পারতেন। প্রার্থীরা যেহেতু অনেক ক্ষেত্রে আমাদের জানাননি, সে জন্য অনেক ক্ষেত্রে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে।’
রিটার্নিং কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘প্রার্থীদের আমরা অনুরোধ করেছি, কখন কোথায় তাঁরা জনসভা করবেন, জানাতে। সে ক্ষেত্রে আমরা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেব। সেই সঙ্গে সামনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে মোতায়েন করা হবে। সন্দ্বীপে নৌবাহিনী মোতায়েন হচ্ছে। আমরা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার বন্ধের জন্য সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করব। আপনারা যে আশঙ্কার কথা বলছেন, সে আশঙ্কা সামনে রেখে অভিযান পরিচালনা করা হবে।’
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডের ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি কাজ করছে। সেখানে বিভিন্ন পর্যায়ের বিচারকেরা কাজ করছেন। তাঁরা অভিযোগ পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ বলেন, ‘প্রার্থীদের মধ্যে কিছু ক্ষেত্রে আচরণবিধি ভাঙার প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। আমরা গত নির্বাচনে কোথায় কোথায় সহিংসতা হয়েছে, সেটা মাথায় নিয়ে কাজ করছি। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলছে। ইতিমধ্যে ১৫টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সব আসনই আমাদের কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ।’
এর আগে মতবিনিময় সভায় প্রার্থীদের পরস্পরকে হেয় করে কোনো কিছু না করার জন্য অনুরোধ জানান জেলা প্রশাসক। পারস্পরিক সহাবস্থান বজায় রাখার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের বাঁশখালী, সাতকানিয়া, পটিয়া ও মিরসরাই আসনে প্রায় প্রতিদিনই কমবেশি নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। এখানে আওয়ামী লীগের নৌকার পাশাপাশি একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন।
চট্টগ্রামের মোট ১৬টি আসনের মধ্যে জেলায় পড়েছে ১০টি। এই ১০ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে আছেন জেলা প্রশাসক। এর মধ্যে সন্দ্বীপ আসনে আগেই মতবিনিময় সভা করেছেন জেলা প্রশাসক। আজ সমতলের বাকি নয়টি আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হলো। এ ছাড়া নগর ও সংলগ্ন ছয়টি আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে রয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম।

রিটার্নিং কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘প্রার্থীদের আমরা অনুরোধ করেছি, কখন কোথায় তাঁরা জনসভা করবেন, জানাতে। সে ক্ষেত্রে আমরা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেব। সেই সঙ্গে সামনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে মোতায়েন করা হবে। সন্দ্বীপে নৌবাহিনী মোতায়েন হচ্ছে। আমরা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার বন্ধের জন্য সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করব। আপনারা যে আশঙ্কার কথা বলছেন, সে আশঙ্কা সামনে রেখে অভিযান পরিচালনা করা হবে।’

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডের ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি কাজ করছে। সেখানে বিভিন্ন পর্যায়ের বিচারকেরা কাজ করছেন। তাঁরা অভিযোগ পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছেন।

পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ বলেন, ‘প্রার্থীদের মধ্যে কিছু ক্ষেত্রে আচরণবিধি ভাঙার প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। আমরা গত নির্বাচনে কোথায় কোথায় সহিংসতা হয়েছে, সেটা মাথায় নিয়ে কাজ করছি। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলছে। ইতিমধ্যে ১৫টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সব আসনই আমাদের কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ।’
এর আগে মতবিনিময় সভায় প্রার্থীদের পরস্পরকে হেয় করে কোনো কিছু না করার জন্য অনুরোধ জানান জেলা প্রশাসক। পারস্পরিক সহাবস্থান বজায় রাখার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের বাঁশখালী, সাতকানিয়া, পটিয়া ও মিরসরাই আসনে প্রায় প্রতিদিনই কমবেশি নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। এখানে আওয়ামী লীগের নৌকার পাশাপাশি একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন।

চট্টগ্রামের মোট ১৬টি আসনের মধ্যে জেলায় পড়েছে ১০টি। এই ১০ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে আছেন জেলা প্রশাসক। এর মধ্যে সন্দ্বীপ আসনে আগেই মতবিনিময় সভা করেছেন জেলা প্রশাসক। আজ সমতলের বাকি নয়টি আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হলো। এ ছাড়া নগর ও সংলগ্ন ছয়টি আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে রয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম।