নোয়াখালীতে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে ফেলে রেখে গেল দুর্বৃত্তরা

হামলা
প্রতীকী ছবি

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলামকে (৫০) কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ শনিবার বিকেল চারটার দিকে উপজেলার অর্জুনতলা এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

হামলায় আহত বিএনপি নেতা জহিরুল ইসলাম জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সেনবাগ পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার আলমগীর ওরফে আলো প্রথম আলোকে বলেন, জহিরুল ইসলাম একটি সালিসের বিষয়ে কথা বলতে শনিবার বিকেল চারটার দিকে তাঁর অর্জুনতলা গ্রামের বাড়িতে আসেন। কয়েক মিনিট কথা বলার পর তিনি (জহিরুল) তাঁর কাছ থেকে বিদায় নেন। বিদায় নিয়ে সেনবাগ সংযোগ সড়ক হয়ে অর্জুনতলা (আমতলী) এলাকার চৌরাস্তার কাছাকাছি গেলে একদল দুর্বৃত্ত তাঁর ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাঁকে কুপিয়ে আহত করে এবং একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে কাবিলপুর ইউনিয়নের দিলদার মার্কেট এলাকায় অচেতন অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে তিনি  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে গিয়ে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান।

শাহরিয়ার আলমগীর হামলার ঘটনাটিকে অত্যন্ত জঘন্য উল্লেখ করে বলেন, দুর্বৃত্তরা বিএনপি নেতা জহিরুল ইসলামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করার পাশাপাশি নির্দয়ভাবে পিটিয়েছে। জহিরুল হামলাকারীদের মধ্যে দুজনের নাম তাঁকে বলেছেন। এর মধ্যে তাঁর নিকট আত্মীয়দের একজনও নাকি ছিল। তিনি বিষয়টি পুলিশকেও জানিয়েছেন। জহিরুল বর্তমানে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী প্রথম আলোকে বলেন, জহিরুল ইসলামের ওপর হামলার কথা তিনি শুনেছেন। জহিরুলের পারিবারিক কিছু ঝামেলা রয়েছে। ওই ঝামেলার জের ধরে হামলা হয়েছে কি না, তা তিনি নিশ্চিত নন। এ বিষয়ে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।