বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণ মামলায় আরও চার আসামির জবানবন্দি
কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা ঈগল এক্সপ্রেস নামের বাসে ডাকাতি ও দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার ১০ আসামির মধ্যে আরও ৪ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে তাঁরা টাঙ্গাইল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি দেন। বাকি ছয়জনকে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এই ১০ জনকে গত রোববার রাতে র্যাব গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁদের সোমবার রাতে টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ নিয়ে এই মামলার সাতজন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন।
যে চার আসামি জবানবন্দি দিয়েছেন, তাঁরা হলেন আসলাম তালুকদার (১৯), রাসেল তালুকদার (২৫), নাইম সরকার (১৯) ও আলাউদ্দিন (২৪)।
গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনায় বর্ণনা দিয়েছেন আসামিরা। তাঁরা জানিয়েছেন, বাসের নারী যাত্রীকে রাজা মিয়া দুবার এবং রতন, আওয়াল, নুরনবী ও মান্নান একবার করে ধর্ষণ করেছেন।
টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক তানবীর আহম্মদ বলেন, জবানবন্দি শেষে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
এর আগে মাহমুদুল হাসান ওরফে মুন্না ওরফে রতন (২২), আবদুল মান্নান (২০), বাবু হোসেন ওরফে জুলহাস (২১), মো. সোহাগ (১৯), জীবন প্রামাণিক (২০) ও খন্দকার হাসমত আলী ওরফে দীপুকে (২৩) গোয়েন্দা পুলিশ আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। আদালতের বিচারক ফারজানা হাসানাত প্রত্যেককে তিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
২ আগস্ট কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে নারায়ণগঞ্জগামী ঈগল এক্সপ্রেস নামে একটি বাস সিরাজগঞ্জ পৌঁছালে যাত্রীবেশী ডাকাতেরা গাড়িতে ওঠে। টাঙ্গাইল অতিক্রম করার পর তারা অস্ত্রের মুখে বাসের নিয়ন্ত্রণ নেয়। পরে যাত্রীদের টাকাপয়সা, মুঠোফোন, গয়নাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুটে নেয়। এ সময় বাসের এক নারী যাত্রী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। পরে বাসটি টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া এলাকায় সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়।
এ ঘটনায় ওই বাসের যাত্রী হেকমত আলী বাদী হয়ে ৩ আগস্ট মধুপুর থানায় ডাকাতি ও ধর্ষণের মামলা করেন। ৪ আগস্ট ভোরে পুলিশ টাঙ্গাইল শহরের দেওলা এলাকার ভাড়া বাসা থেকে ডাকাত দলের সদস্য বাসচালক রাজা মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। ৫ আগস্ট (শুক্রবার) গাজীপুরের কালিয়াকৈর থেকে মো. আওয়াল ও নুরনবীকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত শনিবার এই তিন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।