র‍্যাগিং ও ভাঙচুরে জড়িত থাকায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছয় শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে নবীন শিক্ষার্থীকে র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় দুজনকে স্থায়ী ও তিনজনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাকেন্দ্রে ভাঙচুরের ঘটনায় একজনকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপাচার্যের বাসভবনে অনুষ্ঠিত ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে বহিষ্কারের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক শেলীনা নাসরিন।

আরও পড়ুন

স্থায়ী বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রেজওয়ান সিদ্দিকী ওরফে কাব্য, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের হিশাম নাজির ওরফে শুভ এবং মিজানুর রহমান ওরফে ইমন। এ ছাড়া হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শাহরিয়ার পুলক, শেখ সালাউদ্দিন ও সাদমান সাকিবকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক শেলীনা নাসরিন বলেন, চিকিৎসাকেন্দ্রে ভাঙচুরের ঘটনায় রেজওয়ানকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে থাকা বাকি দুজনের ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। এ জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে তাঁদের সতর্ক করা হয়েছে। আর র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় হিশাম ও মিজানুরকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া র‍্যাগিংয়ে সহযোগিতা করায় বাকি তিনজনকে এক বছরের জন্য সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ জুলাই আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রেজওয়ান, সালমান আজিজ, আতিক আরমানের বিরুদ্ধে চিকিৎসাকেন্দ্রে ভাঙচুর, সেখানে কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অ্যাম্বুলেন্সচালকের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ ওঠে। এরপর ১৫ জুলাই তাঁদের সাময়িক বহিষ্কার ও তদন্ত কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ। কমিটিতে ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক শেলীনা নাসরিনকে আহ্বায়ক করা হয়।

এ ছাড়া গত ৯ সেপ্টেম্বর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থী র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ করেন তাঁরই বিভাগের জ্যেষ্ঠ পাঁচ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। পরদিন ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক সাইফুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করে কর্তৃপক্ষ। তদন্ত করতে গিয়ে উভয় কমিটি ঘটনার সত্যতা পায়।

আরও পড়ুন