কারেন্ট জাল ফেলে দৌড় দিলেন তরুণ, আটকের পর মিলল ২০টি সোনার বার

গতকাল বুধবার রাত ৯টার দিকে নাফ নদীর বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে এই তরুণকে আটক করা হয়
ছবি: প্রথম আলো

মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পাচারের সময় ২০টি সোনার বারসহ এক তরুণকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গতকাল বুধবার রাত ৯টার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ নাফ নদীর বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে ওই তরুণকে আটক করা হয়। এ সময় ওই তরুণের কাছ থেকে পাঁচ কেজি অবৈধ কারেন্ট জাল উদ্ধার করেছে বিজিবি।

গ্রেপ্তার তরুণ হলেন সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তরপাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ জাকারিয়ার ছেলে মোহাম্মদ ইয়াছ নূর (২২)। টেকনাফ–২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার প্রথম আলোকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিজিবি জানায়, গতকাল রাত আটটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি জানতে পারে শাহপরীর দ্বীপ সীমান্ত ফাঁড়ির দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৩ থেকে আনুমানিক ৭০০ গজ উত্তর দিকে ওবিএম এলাকা দিয়ে সোনার একটি বড় চালান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে। এই সংবাদের সূত্র ধরে ব্যাটালিয়নের উপ–অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ লতিফুল বারীর নেতৃত্বে একটি বিশেষ টহলদল ও শাহপরীর দ্বীপ সীমান্ত ফাঁড়ির একটি টহল দল ওই এলাকায় কড়া নজরদারিতে ছিল। পরে টহল দল দুটি বিভক্ত হয়ে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে।

রাত ৯টার দিকে এক তরুণকে নাফ নদী থেকে জাল হাতে নিয়ে কেওড়া বাগানের ভেতর দিয়ে পায়ে হেঁটে আসতে দেখেন বিজিবির সদস্যরা। এ সময় সন্দেহের ভিত্তিতে বিজিবি টহল দল ওই তরুণকে চ্যালেঞ্জ করলে তিনি জাল ফেলে দিয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তৎক্ষণাৎ বিজিবির সদস্যরা তাঁকে ধাওয়া করে আটক করেন। আটকের পর ওই তরুণকে তল্লাশি করলে তাঁর কোমড়ে জাল ও টেপ দিয়ে মোড়ানো দুটি সোনার বারের বেল্ট পাওয়া যায়। বেল্টগুলো থেকে ২০টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়।

মেজর মোহাম্মদ লতিফুল বারী বলেন, উদ্ধার করা সোনার বারের ওজন ৩ দশমিক ৩২০ কেজি। যার বর্তমান বাজারমূল্য ২ কোটি ৫৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এ ছাড়া জব্দ করা জালের ওজন পাঁচ কেজি। গ্রেপ্তার তরুণের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, সোনা পাচারের সঙ্গে আরও দুজন জড়িত ছিলেন। ওই দুই চোরাকারবারিকে পলাতক আসামি করে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার বলেন, উদ্ধার করা কারেন্ট জাল টেকনাফ কাস্টমস গুদামে ও সোনার বারগুলো কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ট্রেজারি শাখায় জমা করার প্রক্রিয়া চলছে।