বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে নোয়াখালীর হাতিয়ায় একটি মাছ ধরা ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সাগরে নিখোঁজ দুই জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া একজন জেলে নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপের দক্ষিণে দমার চরের কাছে বঙ্গোপসাগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দুই জেলে হলেন জাহাজমারা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেঘপাশান গ্রামের মোস্তান মিয়ার ছেলে মো. মাঈন উদ্দিন (৪৫) ও একই ইউনিয়নের আমতলী গ্রামের রহমান মাঝির ছেলে মো. শরীফ ওরফে রাফুল (২৫)। আর নিখোঁজ রয়েছেন মো. বেলাল উদ্দিন (২৫)।
হাতিয়ার জাহাজমারা এলাকার ট্রলারমালিক লুৎফুল্লাহিল মজিব প্রথম আলোকে বলেন, কয়েক দিন আগে এমভি সিরাজ নামের একটি ট্রলার ১৬ জন জেলে নিয়ে বঙ্গোসাগরে মাছ ধরতে যায়। মাছ ধরা শেষে আজ শুক্রবার সকাল আটটার দিকে ট্রলারটি জাহাজমারার আমতলি ঘাটে ফেরার পথে দমাচরের দক্ষিণে বঙ্গোপসারের মোহনায় ঝোড়ো বাতাসে উল্টে গিয়ে সাগরে ডুবে যায়। এতে ট্রলারের ১৬ জেলের সবাই সাগরে পড়ে যান। পরে পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে আরেকটি মাছ ধরা ট্রলার গিয়ে ডুবে যাওয়া ট্রলারের ১৩ জন জেলেকে জীবিত উদ্ধার করে।
এ ঘটনার পর সাগরে দুই জেলে মাঈন উদ্দিন ও শরীফের লাশ ভেসে ওঠে। তবে ট্রলারের অপর জেলে বেলাল উদ্দিন এখনো নিখোঁজ। লুৎফুল্লাহিল মজিব বলেন, নিহত ব্যক্তিদের লাশ আনতে ট্রলারের মালিক জহির সারেং অন্য একটি ট্রলার নিয়ে দুর্ঘটনা এলাকায় গেছেন। দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত নিহত দুজনের লাশ এলাকায় পৌঁছেনি।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকাল আটটার দিকে দমাচরের দক্ষিণে বঙ্গোপসারের মোহনায় ঝোড়ো বাতাসের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। বিষয়টি নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ডকে অবহিত করা হয়েছে। বঙ্গোপসাগর ও এর সংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপের ফলে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেতের কারণে সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। এ কারণে উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত আছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।