‘সিনিয়রের’ কাছে সিগারেট চাওয়া নিয়ে তর্কাতর্কি, পরে ছুরিকাঘাতে গেল প্রাণ

হত্যা
প্রতীকী ছবি

সুনামগঞ্জের ছাতকে বয়সে বড় ব্যক্তির কাছে সিগারেট চাওয়া নিয়ে দুই ব্যক্তির মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে শুরু হয় হাতাহাতি। এরপর একজনের ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেছে অন্যজনের। ছাতক পৌর শহরের ছাতক সিমেন্ট কারখানা এলাকার সুরমা নদীর পরিবহন ঘাটে গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত হোসাইন আহমদকে (২৭) আজ শনিবার সকালে আটক করেছে পুলিশ। তিনি শহরের বাগবাড়ি এলাকার হ‌ুমায়ূন কবিরের ছেলে।

নিহত ব্যক্তির নাম মোজাম্মেল হোসেন ওরফে মাসুম (৪৩)। তিনি শহরের পূর্ব নোয়ারাই এলাকার মফিজুর রহমানের ছেলে।

সিগারেট না দেওয়ায় তর্ক জুড়ে দেন হোসাইন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে শুরু হয় হাতাহাতি। একপর্যায়ে হোসাইন ছুরি দিয়ে আঘাত করেন মোজাম্মেলকে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিদের সূত্রে জানা গেছে, ছাতক সিমেন্ট কারখানার সুরমা নদীর পরিবহন ঘাটে রাতভর মানুষ থাকেন। এঁদের মধ্যে বালু, পাথরশ্রমিকেরাই বেশি। আবার অনেকেই আছেন সেখানে রাতে আড্ডা দিতে যান। গতকাল রাতে মোজাম্মেল ও হোসাইন ঘাটে ছিলেন। তাঁরা শ্রমিক নিয়োগের সঙ্গে যুক্ত। হোসাইন আহমদ একসময় মোজাম্মেল হোসেনের কাছে একটি সিগারেট চান। বয়সে ছোট হোসাইন তাঁর কাছে সিগারেট চাওয়ায় রাগ করেন মোজাম্মেল। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, তিনি ‘সিনিয়র’। এদিকে সিগারেট না দেওয়ায় তর্ক জুড়ে দেন হোসাইন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে শুরু হয় হাতাহাতি। একপর্যায়ে হোসাইন ছুরি দিয়ে আঘাত করেন মোজাম্মেলকে। পরে সেখানে থাকা অন্যরা তাঁকে ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে নেওয়া হয় সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

জানতে চাইলে ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন, এ ঘটনায় আজ সকালে অভিযুক্ত হোসাইন আহমদকে আটক করেছে পুলিশ। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে আছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।