সাত বছর আগে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়িবহরে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদসহ ৩৮৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মমিনুন নেসা খানমের আদালতে মামলাটি করেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক নাজিম উদ্দিন।
বাদীর আইনজীবী এনামুল হক প্রথম আলোকে বলেন, আদালত মামলাটি গ্রহণ করে রাঙ্গুনিয়া থানার ওসিকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। মামলায় ৮৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। বাকি ৩০০ জন অজ্ঞাতপরিচয়ের।
মামলার আসামিদের মধ্যে অন্যতম চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র শাহজাহান সিকদার, রাঙ্গুনিয়া রাজানগর ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল আলম তালুকদার, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুছ, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু তৈয়ব ও সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদের ভাই খালেদ মাহমুদ।
মামলার আরজিতে বলা হয়, ২০১৭ সালের ১৮ জুন রাঙামাটিতে পাহাড়ধসের ঘটনা সরেজমিন পরিদর্শন করতে মির্জা ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল রাঙ্গুনিয়ার কাপ্তাই হয়ে রাঙামাটি যাওয়ার জন্য রওনা হয়। পথিমধ্যে রাঙ্গুনিয়ার ইছাখালী এলাকায় লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে আহত হন মির্জা ফখরুল ইসলাম, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমানসহ অনেকে। পরে হামলার শিকার বিএনপির প্রতিনিধিদল রাঙামাটি না গিয়ে চট্টগ্রাম শহরে ফিরে আসে।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ওই নেতা–কর্মীরা এ ঘটনার জন্য সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদকে দায়ী করেন। তিনি ওই এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য। তবে ঘটনার সময় হাছান মাহমুদ তা অস্বীকার করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের রাঙামাটিতে পাহাড়ধসে ১১৫ জনের প্রাণহানি ঘটে।
মামলার বাদী চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক নাজিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, আসামিদের কাছে জিম্মি ছিল পুরো রাঙ্গুনিয়াবাসী। তাঁদের আইনের আওতায় এনে মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা হোক।