ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডে ২০ কিলোমিটার যানজট

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী দুই লেনের অর্ধেক দখল করে কাভার্ডভ্যানসহ পণ্যবাহী গাড়ি রাখায় সৃষ্টি হয়েছে যানজট। আজ সকাল ১০ টায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ফকিরহাট এলাকায়ছবি: কৃষ্ণ চন্দ্র দাস

কখনো থেমে থেমে চলছে গাড়ি, আবার কখনো ঠাঁই দাঁড়িয়ে পড়ছে। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আজ মঙ্গলবার দিনভর দেখা গেছে এমন চিত্র। সকালের দিকে যানজট শুরু হলেও দুপুরের পর তা ছাড়িয়ে যায় প্রায় ২০ কিলোমিটার। রাত নয়টা পর্যন্ত সরেজমিনে গিয়ে এই যানজট দেখা গেছে। যানজটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীসহ সাধারণ মানুষ।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ফকিরহাট এলাকায় একটি ডিপোর সামনে সকাল থেকে অবৈধভাবে সড়কের ওপর যানবাহন পার্কিং করে রাখা হয়। সেখান থেকে যানজটের সূত্রপাত হয়েছে। দুপুরে পর ওই ডিপোতে আসা যানবাহনের সংখ্যা আরও বেড়ে যায়। এ সময় যানজটও দীর্ঘ হয়। ডিপোটির সামনে অবৈধ পার্কিং বন্ধে হাইওয়ে পুলিশের তৎপরতা না থাকায় বারবার একই স্থানে যানজট শুরু হচ্ছে বলেও জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয় বাসিন্দা রবিউল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ফকিরহাট এলাকায় আগে মূল সড়কের পাশে পার্কিং করা হতো। এক সপ্তাহ ধরে সড়কের এক লেন বন্ধ করে দিয়ে প্রতিদিন গাড়ি পার্কিং করে রাখা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবাদ জানালে চালকেরা জোটবদ্ধ হয়ে তেড়ে আসেন।

সড়কের ওপর এভাবে পার্কিং করে রাখা হয় গাড়ি। আজ সকালে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ফকিরহাট এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

সরকারি এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, কেডিএস লজিস্টিক ডিপো এলাকায় যানজট এখন নিত্যদিনের বিষয়। বিষয়টি নিয়ে হাইওয়ে পুলিশের কোনো তৎপরতায় দেখা যায় না।

কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোরশেদ হোসেন চৌধুরী বলেন, কেডিএস লজিস্টিকের ডিপোর কারণে প্রতিদিন মহাসড়কে যানজট হচ্ছে। তিনি একাধিকবার বারআউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেছেন। প্রতিবার বলা হয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিছুই হয় না। ফলে মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছেন।

অবৈধ পার্কিংয়ের বিষয়ে মোহাম্মদ কামরুজ্জামান নামের এক চালক বলেন, গাড়িচালকেরা কে কার আগে ডিপোতে ঢুকবেন, সেই প্রতিযোগিতা করে গেটের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করেন। ডিপোতে ঢুকতে না পেরে সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। ফলে যানজট হচ্ছে। যে পরিমাণ গাড়ি ভেতরে ঢোকার সুযোগ আছে, সে পরিমাণ গাড়ি একসঙ্গে ঢোকার সুযোগ দিলে এ সমস্যা হতো না।

বারআউলিয়া হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ শাহ আলম প্রথম আলোকে বলেন, কেডিএস লজিস্টিক ডিপো ও রয়েল সিমেন্ট কারখানায় গাড়ি ঢোকা ও বের হওয়ার সময় যানজট হচ্ছে। তাঁরা যানজট নিরসনে কাজ করছেন।