মোমবাতি জ্বালাতেই আ.লীগের বুকে আগুন, মশাল জ্বালালে পুড়ে ছারখার হবে

হালুয়াঘা‌ট উপ‌জেলা বিএন‌পির প্রতিবাদ সমা‌বে‌শে বক্তব্য দেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ। রোববার বিকেলে উপজেলা শহরের শহীদ স্মৃ‌তি কলেজের সামনের সড়কে
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ বলেছেন, মোমবাতি জ্বালাতেই যদি আওয়ামী লীগের বুকে আগুনের তাপ লাগে, তবে সেদিন বেশি দূরে নয়, মশাল জ্বালালে সরকার পুড়ে ছারখার হয়ে যাবে।

আজ রোববার বিকেলে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশে তি‌নি এসব কথা ব‌লেন।

সৈয়দ এমরান সালেহ বলেন, মোমবাতি প্রজ্বালন, অবস্থান বা মিছিল-সমাবেশের মতো শান্তিপূর্ণ ও নিরীহ কর্মসূচিতে ভয় পেয়ে নির্লজ্জের মতো সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে প্রমাণ করেছে, তারা জনবিচ্ছিন্ন এবং ফ্যাসিস্ট। সরকার সন্ত্রাসী কায়দায় আন্দোলন দমন করতে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। আন্দোলনকে রক্তাক্ত করে নিজেদের পতন ত্বরান্বিত করছে। সন্ত্রাস, নৈরাজ্য করে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। প্রতিটি রক্তের ফোঁটা, হামলা, হত্যা ও লাশের জবাব নেওয়া হবে।

জনবিচ্ছিন্ন সরকার গণবিক্ষোভে ভীত হয়ে বেসামাল আচরণ করছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ। তিনি বলেন, জনগণ তাদের লাল কার্ড দেখানো শুরু করেছে। এ জন্য বিদেশিদের সহযোগিতায় ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বিভিন্ন অজুহাতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে। বিদেশিদের কাছে সরকারের দুর্নীতি, দুঃশাসন, গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ইতিহাস উন্মোচিত হওয়ায় তারাও সরকার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।

জনগণের দুঃসময়ে জনগণের টাকা অপচয় না করে জনদুর্ভোগ নিরসনে ব্যয় করলে জনগণ উপকৃত হতো বলে জানান বিএনপির এই সাংগঠনিক সম্পাদক। বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে মামলা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে এমরান সালেহ বলেন, এক জায়গায় হামলা হলে এক হাজার জায়গায় বিক্ষোভ হবে। পেশি ও রাষ্ট্রীয় শক্তি দিয়ে আন্দোলন দমন করতে চাইলে ভয়াবহ পরিণতির জন্য সরকারকেই দায়ী থাকতে হবে।

হালুয়াঘাট উপ‌জেলা বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশের আগে সৈয়দ এমরান সালেহর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল হালুয়াঘাট পৌর শহর প্রদক্ষিণ ক‌রে। প‌রে শহ‌রের শহীদ স্মৃতি কলেজ গেটের সাম‌নে সড়‌কে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আসলাম মিয়া, হানিফ মো. শাকের উল্লাহ, আবদুল হাই, নাদিম আহম্মদ ও আবু হাসনাত বদরুল কবির, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আমজাদ আলী, আরফান আলী, আবদুল হামিদ, আলী আশরাফ ও আলমগীর আলম বিপ্লব, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা যুবদলের সহসভাপতি আবদুল আজিজ খান, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক হোসনে আরা, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি আসাদুজ্জামান, হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল হান্নান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রুহুল আমিন খান, সদস্যসচিব আলিমুজ্জামান, পৌর আহ্বায়ক মেহেদী হাসান ও সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আবদুল গণি ও সাধারণ সম্পাদক মশিউজ্জামান, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক নাইমুর আরেফিন ও সদস্যসচিব তাজবীর হোসেন, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আকিকুল ইসলাম ও সদস্যসচিব আলী আজগর, মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন ও জাসাস আহ্বায়ক রাশেদ আহমেদ বক্তব্য দেন।