গৌরনদীতে যুবদল নেতার হাত-পা হাতুড়িপেটায় ভাঙার অভিযোগ যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে

যুবদল নেতা মো. বাচ্চু সিকদারকে বরিশালের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ছবি: সংগৃহীত

বরিশালের গৌরনদী পৌরসভা যুবদলের আহ্বায়ক মো. বাচ্চু সিকদারের (৪২) হাত-পা হাতুড়ি ও জিআই পাইপ দিয়ে পিটিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার গৌরনদী পৌরসভার গয়নাঘাট কাঁচাবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গৌরনদী পৌরসভা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আতিক মিয়ার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মো. বাচ্চু সিকদার।

বরিশালের একটি হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বাবুল সাহা বলেছেন, বাচ্চু সিকদারের দুই পায়ের দুটি স্থান ও বাঁ হাতের দুটি স্থান ভেঙে গেছে।
আহত যুবদল নেতা মো. বাচ্চু সিকদারের স্ত্রী খাদিজা খানম বলেছেন, তিন-চার মাস আগেও একবার হামলা করে তাঁর স্বামীর একটি পা ভেঙে দিয়েছিলেন যুবলীগ-ছাত্রলীগের লোকজন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গৌরনদী পৌরসভা যুবদলের আহ্বায়ক মো. বাচ্চু সিকদার গতকাল বিকেলে উত্তর বিজয়পুর এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে স্থানীয় গয়নাঘাট কাঁচাবাজারে আসেন। সন্ধ্যার দিকে বাজারের কাজ শেষ করে বাড়ির পথে রওনা হন। কাঁচাবাজারের পাশে মাতৃ মঙ্গল শিশু হাসপাতালের সামনে পৌঁছালে ১৫ থেকে ১৬ জন লাঠিসোঁটা, হাতুড়ি, হকিস্টিক ও জিআই পাইপ নিয়ে অতর্কিতভাবে তাঁর ওপর হামলা চালান।

মো. বাচ্চু সিকদার অভিযোগ করেন, গৌরনদী পৌরসভা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আতিক মিয়ার নেতৃত্বে ১৫ থেকে ১৬ জনের একটি দল লাঠিসোঁটা, হাতুড়ি, হকিস্টিক ও জিআই পাইপ নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা চালান। এ সময় হাতুড়ি ও জিআই পাইপ দিয়ে পিটিয়ে তাঁর হাত-পা ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি শরীর থেতলে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘আমি বহু অনুনয়-বিনয় করে কান্নাকাটি করে জীবনভিক্ষা চাইলেও আমাকে সন্ত্রাসীরা ছাড়েনি। বাজারের ব্যবসায়ীসহ শত শত মানুষ ঘটনাটি দেখলেও সন্ত্রাসীদের ভয়ে আমাকে রক্ষায় কেউ এগিয়ে আসেননি।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গৌরনদী পৌরসভা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আতিক মিয়া বলেন, ‘হামলার সঙ্গে আমার বা যুবলীগের কারও কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমার ও যুবলীগের বিরুদ্ধে যুবদল নেতা মিথ্যাচার করছেন।’

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বাজারের তিন ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, যুবদল নেতার ওপর নির্দয় ও অমানবিকভাবে হামলা করা হয়েছে। একপর্যায়ে তিনি অচেতন হয়ে পড়লে তাঁকে মৃত ভেবে রাস্তার পাশে রেখে হামলাকারীরা চলে যান। পরে তাঁকে উদ্ধার করে গতকাল রাত ১০টার দিকে বরিশাল শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আফজাল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।