বাবা-ভাইকে না পেয়ে দুই শিক্ষার্থীকে ধরে নিয়ে যাওয়ায় পরিবারে দুশ্চিন্তা

কিশোরগঞ্জ জেলার মানচিত্র

কিশোরগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও তাঁর বড় ছেলে জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি আনান ইসলামকে ধরতে গিয়ে বাসায় পায়নি পুলিশ। পরে আমিনুলের ছোট দুই যমজ ছেলে শহীদুল ইসলাম ও মাকসুদুল ইসলামকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় তাঁদের পরিবার।

শহীদুল স্নাতকে পড়েন। আর মাকসুদুল এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন। বর্তমানে তাঁরা কিশোরগঞ্জ কারাগারে আছেন।

একদিকে দুই ছেলে কারাগারে, অন্যদিকে গ্রেপ্তারের ভয়ে স্বামী ও বড় ছেলে পলাতক থাকায় দুশ্চিন্তায় আছেন বিএনপি নেতা আমিনুলের স্ত্রী ঝর্ণা ইসলাম। তিনি বলেন, ‘স্বামী ও বড় ছেলে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও আমার এই দুই ছেলে রাজনীতি করে না। তারা কখনো রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচি বা মিটিং-মিছিলে যায় না। পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। অথচ পুলিশ গত মঙ্গলবার রাতে বাসায় এসে আমার স্বামী আর বড় ছেলেকে না পেয়ে ছোট দুই ছেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। এ নিয়ে আমি খুব ভয় এবং দুশ্চিন্তায় আছি।’

আমিনুল ইসলামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের শোলাকিয়া এলাকায়।

গত ২৯ অক্টোবর বিএনপির ডাকা দেশব্যাপী হরতাল চলাকালে সকালে শোলাকিয়া এলাকায় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশসহ বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১৪টি ফাঁকা গুলি ও ২টি কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এ সময় ইটনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে নাশকতা ও পুলিশের ওপর হামলায় ২০ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ৩০ থেকে ৪০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। ওই মামলায় কিশোরগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলামের বড় ছেলে জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি আনান ইসলামকে আসামি করা হয়।

কিশোরগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ দাউদ বলেন, হরতাল চলাকালে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় আমিনুল ইসলামের দুই ছেলেকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা এজাহারভুক্ত আসামি না হলেও সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ধরা হয়েছে।