নানা আয়োজনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম দিবস উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা
ছবি: প্রথম আলো

নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ৫৩তম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদ্‌যাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের সামনে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের পর বেলুন উড়িয়ে দিনের কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. নূরুল আলম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন করেন রেজিস্ট্রার মো. আবু হাসান।

শিক্ষা ও গবেষণায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা দেশ ও বিদেশে খ্যাতি অর্জন করেছেন উল্লেখ করে উদ্বোধনী ভাষণে উপাচার্য নূরুল আলম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৫৩ বছরের অগ্রযাত্রায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা দেশে-বিদেশে শিক্ষা-গবেষণা, শিল্প-সাহিত্য, রাজনীতি, ক্রীড়াঙ্গনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। বিশ্বের ২ শতাংশ সেরা বিজ্ঞানীর তালিকায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা স্থান লাভ করে বিশ্ববিদ্যালয়কে সম্মানিত করেছেন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক টাইমস হায়ার এডুকেশন (টিএইচই) ম্যাগাজিনের শিক্ষা ও গবেষণার ওপর ‘ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিং ২০২৪’ তালিকায় এ বিশ্ববিদ্যালয় স্থান লাভ করেছে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সম্মান ও গৌরবের

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭০-৭১ শিক্ষাবর্ষে অর্থনীতি, ভূগোল, গণিত ও পরিসংখ্যান—এই চার বিভাগে ১৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। এর আগে ১৯৭১ সালের ১২ জানুয়ারি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আহসান এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোধন করেন। বিশিষ্ট রসায়নবিদ অধ্যাপক মফিজ উদ্দিন আহমদ প্রথম উপাচার্য হিসেবে এ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০০১ সাল থেকে ১২ জানুয়ারিকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। বর্তমানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬টি অনুষদের অধীনে ৩৪টি বিভাগ ও ৪টি ইনস্টিটিউটে প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছেন।

দিনের কর্মসূচি উদ্বোধনের পর একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে গিয়ে শেষ হয়। বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়জীবন নিয়ে স্মৃতিচারণা করেন। এরপর বিকেল চারটায় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল পাঁচটায় সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, দিনব্যাপী চিত্র প্রদর্শনী, রক্তের গ্রুপ নির্ণয়সহ নানা আয়োজন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সহ–উপাচার্য (প্রশাসন) শেখ মো. মনজুরুল হক, সহ–উপাচার্য (শিক্ষা) মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, প্রক্টররাসহ অনেকে।