লাশ বাড়ি আসার পর মা জানলেন ছেলে আর নেই

মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়ের কুতুবপুর এলাকায় বাস দুর্ঘটনায় পড়ে
ছবি: প্রথম আলো

তিন ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন খুলনার আমতলার টুটপাড়া এলাকার মো. আশফাকুজ্জামান ওরফে লিংকন (৪৫)। তাঁর মৃত্যুর খবর প্রথমে তাঁর মা হাসনা হেনাকে জানানো হয়নি। গতকাল রোববার রাতে বাড়িতে লাশ এলে মা জানতে পারেন তাঁর প্রিয় ছেলে আর নেই। গতকাল সকালে মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুরে এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় নিহত ১৯ জনের একজন তাঁর ছেলে।

আরও পড়ুন

বাড়ির লোকজন বলেন, আশফাক রাতে মা-বাবাকে বলে রেখেছিলেন যে ভোরে ঢাকার উদ্দেশে বের হবেন। ভোর চারটার দিকে দুই ভাই বাড়ি থেকে বের হন। খুলনার রয়েল মোড় থেকে ইমাদ পরিবহনের বাসে ওঠেন আশফাক ও তাঁর ছোট ভাই মো. ইশরাকুজ্জামান। ইশরাক গোপালগঞ্জে নেমে যান। পরে মাদারীপুরের শিবচরে এক্সপ্রেসওয়েতে বাসটি দুর্ঘটনায় পড়লে আশফাক মারা যান।

আরও পড়ুন

আশফাকুজ্জামান ছিলেন ঠিকাদার। তাঁদের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জে হলেও দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা খুলনা নগরের টুটপাড়া এলাকায় ভাড়া থাকেন।

আশফাকুজ্জামানের মেজ মামা হুমায়ুন কবির বলেন, গতকাল দুপুর ১২টার দিকে তাঁরা নিশ্চিত হন সড়ক দুর্ঘটনায় তাঁদের ভাগনে আশফাক মারা গেছেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আশফাকের বাবা শাজাহান মোল্লাকে ছেলের মৃত্যুর খবর জানানো হয়। তবে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত মা হাসনা হেনাকে জানানো হয়নি ছেলের মৃত্যুর খবর। তাঁকে বলা হয়েছিল, সড়ক দুর্ঘটনায় ছেলে আহত হয়েছেন।

আরও পড়ুন

হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে কথা বলতে বলতে ভেতরের ঘর থেকে আশফাকের মায়ের উচ্চস্বরে কান্নার শব্দ ভেসে আসছিল। আহাজারি করতে করতে তিনি বলছিলেন, ‘আমার লিংকনের কী হলো রে!’